এসএসসি
পাশ করে ভর্তি হয় কলেজে। কিন্তু দারিদ্রতার
সংসারে অর্থাভাবে কলেজের
পাঠ আর চুকাতে পারেনি। এরপর কম্পিউটার
কম্পোজের দোকানে কাজ করছিল বাঁধন ইসলাম। বেশ ভালোই যাচ্ছিল বাবা- ছেলের
আয়ে তাদের সংসার। কিন্তু হঠাৎ দাঁতে টিউমার
দেখা হয়, এরপর ধরা পড়ে মরণব্যাধি ক্যান্সার।
এ জন্য রংপুর থেকে অপারেশনও করা হয়। এখন দিতে হবে কেমোথেরাপি। কিন্তু অর্থের অভাবে সেটা আর দিতে পারছে না বাধনের পরিবার।
২৩
বছর বয়সী বাধন ইসলামের বাড়ি পঞ্চগড় সদর
উপজেলার ডুডুমারী এলাকায়। তার বাবা একজন ভ্যান চালক,
নাম ময়নুল ইসলাম। বাধন তার বাবার বড় ছেলে।
জানা যায়, বাঁধন ২০১৯ সালে দেওয়ান হাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে জগদল ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হয়। কিন্তু অর্থাভাবে আর পড়াশোনা করা হয়নি তার। বাধনের যখন রোগ ধরা পড়ে, তখন তার ভ্যানচালক বাবা নিজেদের সহায়-সম্বল বিক্রি করে রংপুর হাসপাতাল থেকে অপারেশন করায় তার। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জন রেজিস্ট্রার (ডেন্টাল) ডা.বিদুৎ কুমার সরকারের তত্বাবধানে ছিলেন বাধন।
এখন কিছুদিন পরপর রাজশাহী গিয়ে দিতে হবে কেমোথেরাপি। প্রতিটির থেরাপির পেছনে পরীক্ষা নিরিক্ষাসহ খরচ হবে ৩০ হাজার টাকা। ভ্যানচালক বাবার পক্ষে সে খরচ বহন করা অসম্ভব। ঠিক সময়ে চিকিৎসা করাতে না পাড়লে যে কোনো মুহূর্তেই নিভে যেতে পারে বাঁধনের জীবন প্রদীপ।
এমন পরিস্থিতিতে দেশ-বিদেশের হৃদয়বান ব্যক্তিদের নিকট আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন বাঁধনের বাবা-মা। তার চিকিৎসায় আর্থিক সাহায্য পাঠানোর বিকাশ/নগদ নম্বর- ০১৭০৭৪৭৫৩০৬ (বাঁধনের বাবা-মা)। ডাচবাংলা ব্যাংক পঞ্চগড় শাখা বাধনের নামে একটা অ্যাকাউন্ট খোলা আছে। সেটার নাম ও হিসাব নম্বর হচ্ছে- মো.বাঁধন ইসলাম হিসাব নম্বর-২১৯৭৩৪৮৬২৩৭৯৭।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে