সংবাদ প্রকাশের পর সুমনের পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও ফাহমিদা

সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ, গুরুদাসপুর
১৩ অক্টোবর ২০২৫

প্রথম দফায় নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বাংলাদেশ ২৪ অনলাইন- সংবাদ প্রকাশের পর ক্যান্সার আক্রান্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালযের শিক্ষার্থী সুমনের পাশে দাঁড়িয়েছেন নাটোরের গুরুদাসপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) শেষ বিকালে সুমনের চিকিৎসা সহায়তার জন্য তাঁর বাবার হাতে চিকিৎসা সহযোগীতার চেক তুলে দিয়েছেন তিনি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার  আপনার সহযোগীতায় সুস্থ্য হবে ক্যান্সার আক্রান্ত রাবি শিক্ষার্থী সুমন শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় বাংলাদেশ২৪অনলাইন- এ। সংবাদটি ইউএনও ফাহমিদা আফরোজের নজরে এলে তিনি সুমনের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।

সুমন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চরপিপলা গ্রামের আজহার হোসেনের একমাত্র ছেলে ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ষ্টাডিজ বিভাগের মাষ্টার্সের শিক্ষার্থী।

চেক বিতরনের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আসাদুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী মিলন মিয়া, খুবজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

এদিকে সুমনের ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশের পর আমেরিকা প্রবাসী রাশিদুল ইসলাম,বিবেক ফাউন্ডেশন,নাটোর জেলা সমিতি ঢাকাসহ বিভিন্ন সামাজিক, সংগঠন চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেছেন। এছাড়া ব্যাক্তি,রাজনৈতিক দল বিভিন্ন সামাজিক মানবিক সংগঠন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ সুমনের খোঁজ-খবর নিয়ে সুস্থ্যতা কামনা করে বলেন, যে কোন মানবিক সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন পাশে থাকবে। আগামীতে আর্থিক সহযোগীতার বাইরে অন্যভাবে সহযোগীতার আশ্বাসও দেন তিনি।

সুমনের পিতা আজহার হোসেন দ্রুততম সময়ে উপজেলা প্রশাসনের আর্থিক সহযোগীতার জন্য ইউএনও ফাহমিদা আফরোজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরো জানান, ছেলের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। ছেলেকে বাঁচাতে তিনি সুহৃদ,দানবীর মানবিক মানুষের সহায়তা চেয়েছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-দেলোয়ার হোসেন, অগ্রনী ব্যাংক চাঁচকৈড় বাজার শাখা এ্যকাউন্ট নম্বর-০২০০০২২০৮১১৫৮। বিকাশ ০১৭৬৪৯০৩০১১।

জানা গেছে, ২০২২সালের জুলাই  তার স্পাইনাল কর্ডে টিউমার ধরা পরে। টিউমারটি কারনে অসহনীয় ব্যথা ধীরে ধীরে দুই পায়ে অসাড়ভাব নেমে আসতে থাকে। মোহাম্মদপুরের আল-মানার হাসপাতালে টিউমার অপসারন করা হয়। তিনমাস পর আবার ব্যথা শুরু হলে করতে গিয়ে পরিক্ষায় হাড় ক্যান্সার ধরা পরে। সেখানে তিনি অধ্যাপক ডাক্তার এস কে সাদের হোসেনের তত্ববধানে চিকিৎসাধীন থেকে ১২টি কেমোথেরাপি  ৩৮টি রেডিওথেরাপি নিয়ে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারীতে বাড়ি ফিরেন।

চলতি বছরের শুরুতে নতুন পরীক্ষা রিপোর্টে দেখা যায় আক্রান্ত ক্যান্সার সেল ফিরে এসেছে এবং সেটি ফুসফুস স্পাইনাল কর্ডে ছড়িয়ে পড়েছে। ডাক্তার সাদের হোসেন উন্নত চিকিৎসার জন্য সুমনকে ভারতের ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে(সিএমসি)চিকিৎসার পরামর্শ দেন। এরইমধ্যে সুমনের চিকিৎসা করাতে ৩০ লাখ টাকা ব্যায় করে সর্বশান্ত পরিবারটি। ধারদেনা করে বর্তমানে সুমনকে ভারতের ভেলোরের সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে পাঠিয়েছে তার পরিবার। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।

রাবির ফোকলোর অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ষ্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছাত্র উপদেষ্ঠা আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, সুমন আমার এলাকার ছেলে। প্রাথমিকভাবে বিভাগের পক্ষ থেকে কিছু আর্থিক সহযোগীতা করা হয়েছে। বড় আর্থিক সহযোগীতা করতে ছাত্র-শিক্ষক সমন্ময়ে ফান্ড গঠনের চেষ্টা চলছে।

 

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে

 



মন্তব্য
জেলার খবর