অনিয়মের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এলাকায় চাঞ্চল্য

সম্রাট হোসাইন, পঞ্চগড়
১৬ নভেম্বর ২০২৫

পঞ্চগড় সদর উপজেলার রাজমহল পূর্ব বাগান আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক এবং উপাধ্যক্ষ এরশাদ আলী তাদের দুই জনের নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতে স্থানীয়রা নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।

জানা যায়, ২০১৫ সালে নিয়োগ পরীক্ষায় উপাধ্যক্ষ পদে মো. এরশাদ আলী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করনে। সেই নিয়োগ বোর্ডের নম্বর পত্রে প্রতিদ্বন্দ্বি দেখানো হয়েছে মো. আবুল হাসান মো. আমিরুল ইসলামকে। অথচ তারা নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। এদিকে এরশাদ আলীকে তার নিয়োগের বিষয়ে শোকজ করেন  মাদরাসার অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক। শোকজ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন- জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে এরশাদ আলী উপাধ্যক্ষ পদে  নিয়োগ নিয়েছেন, তাই তার এমপিও সাময়িক স্থগিতসহ কেন স্থায়ীভাবে স্থগিত করা হবে না, সে বিষয়ে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ।

ওদিকে উপাধ্যক্ষ পদে তার নিয়োগ, নিয়োগ পরীক্ষা ও নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীদের বিষয়টি শোকজের জবাবে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন উপাধ্যক্ষ এরশাদ আলী। সেই সঙ্গে সেখানে উল্লেখ করেন পতিত শেখ হাসিনার সরকারের শাসনামলে উপজেলা মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মাদ্রাসার শিক্ষা প্রশাসনিক কাজে ফাঁকি দিয়ে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করেছেন অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক।  তাছাড়া দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন। গোপনে নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্য এলাকায় সুশিক্ষিত অনেক লোক থাকা সত্ত্বেও একই নিয়োগ বোর্ডে তার তিন ভাইকে সদস্য হিসেবে রাখা  হয়।  সরকার পতনের পর অধ্যক্ষ নিজেও মাস পলাতক থেকে সরকারের পূর্ণ বেতন-ভাতা গ্রহন করেছেন।

বিষয়ে অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হককে মুঠোফোনে বারবার কল করা হলেও কোন সাড়া দেননি। উপাধ্যক্ষ এরশাদ আলী বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ভুল বুঝাবুঝি থেকে এ ঘটনা। আমরা আপোষ করে নিয়েছি।

 

 

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর