সারা দেশের নির্বাচিত সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ‘স্কুল ফিডিং’ কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বেলুন উড়িয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জোমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন- শতভাগ ভর্তি, তাদের স্কুলে ধরে রাখা, ঝরে পরা রোধ, সুস্বাস্থ্যে বেড়ে ওঠা,বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখা,পুষ্টির চাহিদা পুরণে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। এ কার্যক্রমের লক্ষ্য শিশুর পুষ্টির অভাব পুরণ করা। পেটে ক্ষুধা থাকলে পড়াশোনায় মন বসে না। শিশুরা টিফিনের আগ্রহে স্কুলমুখী হবে। ঝড়ে পড়া কমবে। লেখাপাড়ার মনোন্নয়নের সাথে মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ঘটাবে।
উপদেষ্টা জানান, প্রত্যেক শিশুর মধ্যে অনেক সম্ভাবনা লুকায়িত থাকে। স্কুল তার সেই প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করে। সুস্থ-সবল শিশুরা যেন দেশের সম্পদ হয়ে বেড়ে উঠতে পারে, এ জন্য সরকার স্কুল ফিডিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা,বিশ্ব খাদ্য কর্মসৃচীর বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রতিনিধি ডমিনিকো স্কেলফিলি, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রাজশাহী বিভাগের উপপরিচালক মো.সানাউল্লাহ, স্কুল ফিডিং কর্মসূচির প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আরিফ হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ,শিশু শিক্ষার্থী সিদরাতুল মুনতাহা ও আফরিন শরীফ প্রমুখ।
জানা যায়, দুই বছর মেয়াদী দেশের নির্বাচিত ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচ স্কুল কর্ম দিবসে ফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা বা মৌসুমি ফল, বনরুটি, ডিম এবং তরল দুধ তথা পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে। এরমধ্যে গুরুদাসপুর উপজেলার ৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে