পঞ্চগড়ে পুত্রবধুকে মারপিট করার অভিযোগে হওয়া মামলায় শশুর-শাশুড়িকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আমলি আদালত পঞ্চগড়-১ এর বিচারক এ আদেশ দেন।
আসামীরা হলেন- পঞ্চগড় সদরের উত্তর জালাসি এলাকার মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে ফয়েজ উদ্দিন (৪৫) ও তার স্ত্রী সামিমা আক্তার (৪০)। ফয়েজ উদ্দিন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহায়ক।
বাদী পক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান রাশেদ বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় বিচারক জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিজের স্বামী আবু সারোয়ার সিজান, তার বাবা ও মা ফয়েজ উদ্দিন ও সামিমা আক্তারকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেন মারিয়াম আক্তার মৌ। মামলায় বলা হয়, যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে মারধর করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মারিয়াম আক্তারের সাথে আবু সারোয়ার সিজানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে গত বছরের অক্টোবরে এ্যাফিডেভিটমুলে তারা বিয়ে করে। পরবর্তীতে তাদের বিয়ের বিষয়টি পরিবারে জানাজানি হলে কাজীর মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা দেন মোহরানা ধার্য্যে পুনরায় বিয়ে হয়। এদিকে যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় পুত্রবধু বাড়িতে নিতে টালবাহানা করে ছেলের পরিবার। এ অবস্থায় ছেলের কর্মসংস্থানের জন্য ৪ লাখ টাকা দেওয়া হয়। পরে ঘর-সংসার শুরু করে তারা। ওদিকে কর্মসংস্থান না করে টাকা খরচ করে ফেলায় পুনরায় ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। সেই যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে মারিয়ামকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তার স্বামী। পরে স্থানীয়ভাবে আপোষ হয়ে আবার সংসার শুরু করে তারা। কিন্তু যৌতুকের টাকা আদায়ের জন্য ষড়যন্ত্র করে গত ২১ সেপ্টেম্বর যৌতুকের টাকার জন্য মারিয়ামকে বাবার বাড়িতে যেতে বলেন অভিযুক্তরা। এতে অসম্মতি জানালে তার স্বামী ও শশুর-শাশুড়ি মিলে এলোপাথাড়ি মারপিট করে ঘরে আটকে রাখে। পরে মোবাইল ফোনে জানতে পারে ভুক্তভোগীর চাচা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে