আট মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

সম্রাট হোসাইন, পঞ্চগড়
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

পঞ্চগড়ে মৃত্যুর আট মাস পর আদালতের নির্দেশে খামিরুল ইসলাম নামের একজনে লাশ  কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ। সোমবার ( সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের রায়পাড়া কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

লাশ উত্তোলনের সময় কবরস্থানে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিদুর রহমান, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা.মাহবুবুর রহমান সুমন, ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি খামিরুল ইসলাম চিকিৎসাধীন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। পরে ফেব্রুয়ারি খামিরুলের বাবা তবিবর রহমান তিনজনকে আসামী করে পঞ্চগড় আমলী আদালত- মামলা  করেন। মামলার আর্জিতে বলা হয়,  খাবারে বিষ মিশিয়ে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।

আসামীরা হলেন- খামিরুলের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার, তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের গুয়াবাড়ি এলাকার মৃত বোয়ালু মুন্সির ছেলে আব্দুর রউফ এবং তার স্ত্রী ইতি আক্তার। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে তদন্তের স্বার্থে লাশ উত্তোলনসহ ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।

জানা যায়,  খামিরুলের বাড়িতে যাতায়াত করতেন অভিযুক্ত আব্দুর রউফ। এক পর্যায়ে খামিরুলের স্ত্রী মৌসুমী আক্তারের সাথে আব্দুর রউফ পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তারা বিয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে। এ জন্য খামিরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পুরো ব্যাপারটিতে সহযোগিতা করে আব্দুর রউফের স্ত্রী ইতি আকতার। তবে এসবের কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি খামিরুল।

মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ জানুয়ারি খামিরুলের বাড়িতে বেড়াতে  আসেন আব্দুর রউফ তার স্ত্রী ইতি আকতার। এদিন রাতে রুটি খেতে দেয়া হয় খামিরুলকে। খাওয়ার পরই অসুস্থ্য হয়ে পড়েন তিনি। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

পঞ্চগড় জজ কোর্টের আইনজীবী দেলওয়ার হোসেন রাসেল বলেন, অভিযুক্তদের একটি কল রেকর্ড থেকে বাদীর পরিবার স্পষ্ট হয়- তাদের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো। তাদের কথোপকথনে ধারণা করা হয়- খাবারে বিষ প্রয়োগ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

সহকারি কমিশনার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিদুর রহমান বলেন, মামলার সুষ্ঠ তদন্ত ন্যায় বিচারের স্বার্থে কবর থেকে লাশ উত্তোলন, ময়না তদন্ত এবং সুরতহালের জন্য আদালতের একটি নির্দেশনা আসে। আমি এটির দায়িত্বপ্রাপ্ত হই এবং সিআরপিসি ১৭৬ ধারা অনুযায়ী কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।

 

 

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর