পঞ্চগড়ে দেবীগঞ্জ উপজেলার ঘাগড়াপাড়া গ্রাম থেকে এক তরুণী ও তেঁতুলিয়া উপজেলার শিলাইকুঠি গ্রাম থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। শিশুটি বাড়ি থেকে খেলতে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরছিল না।
লাশ দুটির একটি হচ্ছে ঘাগড়াপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে থেকে রত্না (২০)’র ও শিলাইকুঠি গামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে আল হাবিব (৬)’র।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকালে খেলতে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি আল হাবিব। খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে রাতে বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেটে শিশুটির লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। লাশটি ভাঙ্গা টয়লেটের ইটের ওপর পড়ে ছিল। গলায় নিজের গায়ের শার্ট পেঁচানো ছিল। মাথার পেছনেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- শিশুটিকে হত্যার পর লাশ ফেলে রাখা হয় সেখানে।
তেঁতুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুসা মিয়া বলেন, শিশুটির বাবা থানায় মামলা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে শিশুটির গলা ও মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এদিকে বুধবার সকালে দেবীগঞ্জের ঘাগড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা কাওসার তার ধানের জমিতে আগাছানাশক দিতে গিয়ে এক তরুণীকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। তার চিৎকারে ছুটে যায় তার প্রতিবেশি মামুন, দেখেন লাশটি তার বোনের। পরে সেখান থেকে বাসায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
রত্নার বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, রাত ১২টার দিকে আমি বাইরে থেকে বাসায় ফেরার পর রত্না আমাকে ভাত খেতে দেয়। রাত দেড়টা পর্যন্ত আমি জেগে ছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মেয়ের ঘরের দরজা খোলা। স্ত্রী জানায়, রত্না ঘরে নেই। এর কিছুক্ষণ পর খবর পাই- ধান খেতে এক মেয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে। গিয়ে দেখি, সেটি আমার মেয়ে।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো.সোয়েল রানা বলেন, বাড়ি থেকে ২০০ গজ পিছনে রত্নার লাশ পড়ে ছিল। তার সাথে কাপড়, মোবাইলের চার্জার ও ভ্যানিটিব্যাগ ছিল। মেয়েটির গলায় একটু দাগ রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আশা করছি, দ্রুত প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে পারব।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে