চলছে বাংলা পঞ্জিকার শ্রাবণ মাস, বর্ষাকাল। ঋতুর এ সময়ে হঠাৎ বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে  ঘন ‘কুয়াশা’ দেখা যায় পঞ্চগড়ের জনপদ। এ নিয়ে জেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতুহল দেখা গেছে। এর প্রভাব পড়েছে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রেও।

ওদিকে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, এটা আসলে কুয়াশা না, কুয়াশা বৃষ্টি।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ আজকে সকালে ঘন কুয়াশার কারণে সামান্য দূরের জিনিসও দৃষ্টিগোচর হচ্ছিল না। ভোর থেকে জেলার সড়ক ও মহাসড়কে বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন চলেছে ধীর গতিতে। সকালে একটু শীতের আমেজ অনুভূত হয়েছে। তবে সকাল ৭টার পর সূর্য আলো ছড়ালে কুয়াশা কেটে যায়।   দেখা মিলেছে আলো ঝলমল দিনের।

কুয়াশা মাখা শ্রাবণের সকালে কাজে বের হওয়া অনেকেই বলেছেন- অসময়ে এ ধরনের কুয়াশা রোগ-বালইয়ের লক্ষণ। কি দিন আসল এখন! শ্রাবণ মাসে একসময়ে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হতো। এখন বৃষ্টির অভাবে আমনের চারা রোপন করতে পারছি না।

শ্রাবণ মাসের অনাকাঙ্খিত কুয়াশার দেখা মেলায় এটাকে ঋতুর বৈচিত্রতা বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন। একদিকে বৃষ্টি, প্রচন্ড গরম আবার কখনও হালকা শীতের পরশও লাগছে জেলায়।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, সকালে কুয়াশার মতো যেটা দেখা গেছে, এটা আসলে কুয়াশা না। আবহাওয়ার ভাষায় এটাকে কুয়াশা বৃষ্টি বলা হয়। এ বৃষ্টি মিলিমিটারে পরিমাপ যোগ্য না, এমন বৃষ্টি হয়েছে।

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে