পঞ্চগড়ে মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল নামের একজনের মৃত্যুর ঘটনায় তার স্ত্রী, স্ত্রীর ভাই-বোনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার (২০ জুলাই) পঞ্চগড় সদর থানায় মামলাটি করেন দুলালের মা মোছা. মর্জিনা বেওয়া।
আসামীরা হলেন- মৃত মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী মোছা. ফেরদৌসি আক্তার জবা (৩০), তার ভাই তানভির হোসেন তনি (৩৫), ফাইজা আক্তার (২৩)। তারা সদর উপজেলার মিলগেট ইসলামপুর এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের সন্তান।
অভিযুক্ত মোছা. ফেরদৌসি আক্তার জবা পঞ্চগড় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের স্টোর কিপার এবং তানভির হোসেন তনি সদর হাসপাতালের ইসিজি টেকনিশিয়ান। মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল সদর উপজেলার তুলারডাঙ্গা এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে মোস্তাফিজুর রহমান দুলালের (৩৫) সাথে আসামীর প্রায় ১১ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর দুলাল শশুর বাড়ির পাশে জায়গা নিয়ে বাড়ি করে সংসার করছিল।
এদিকে অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে দুলালকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশও হয়। গত শুক্রবার ঘটনার দিন অভিযুক্তরাসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন রড, বাঁশের লাঠি নিয়ে দুলালকে মারপিট করে তার বাড়িতে। এক পযায়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়।
মামলা সুত্রে আরও জানা যায়, এরপর আত্মহত্যার কথা বলে দুলালকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সেখানে চিকিৎসক অবস্থা খারাপ দেখে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রংপুরে সেই হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
অভিযুক্ত নার্স মোছা. ফেরদৌসি আক্তার জবার সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায় তার। পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক তৈয়ব আলী সরকার জানান, লাশ রংপুরে ময়নাতদন্ত হচ্ছে।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে