৩ দিনে রেমিট্যান্স ৭৪২৯ কো‌টি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ জুন ২০২৫


চলতি জুন মাসের প্রথম তিন দিনে দেশে ৭ হাজার ৪২৯ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কোরবানির ঈদের আগে ও ঈদ ঘিরে পাঠানো এ রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সেই সঙ্গে চাঙা করছে  ঈদের বাজারকে।

কোরবানির জন্য পশু কেনাকাটা, পরিবার-পরিজনের খরচ এবং ঈদ উপলক্ষ্যে  উপহার সামগ্রীর জন্য যে বাড়তি খরচ, সেটা মেটাতে বড় অঙ্কের রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। আগামী শনিবার সারা দেশে উদযাপন হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে,  জুনের প্রথম তিন দিনে ৬০ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহে সাধারণত ঊর্ধ্বগতি দেখা যায়। এবারও সে ধারাবাহিকতার ব্যতিক্রম হয়নি।

বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক। ডিজিটাল চ্যানেলে অর্থ পাঠানো সহজ হওয়ায়  অনেকেই এখন হুন্ডি এড়িয়ে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করছেন  রেমিট্যান্স পাঠাতে।

পরিসংখ্যান বলছে, গেল মে মাসে দেশে  ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে। দেশের ইতিহাসে এ অঙ্ক ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাসিক প্রবাসী আয়। এর আগে গত বছরের মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২২৫ কোটি ডলার। সে হিসাবে এক বছরে প্রবৃদ্ধি হয় প্রায় ৩২ শতাংশ।

গত ঈদুল ফিতরের সময় মার্চ মাসে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। পরিমাণে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।  চলতি বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এরপর আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার এবং নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। এ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায় , বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা মাস দুই বিলিয়ন এবং মার্চে তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত মোট হাজার ৮১১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। এ অঙ্ক আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২৯ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরে একই সময় এসেছিল দুই হাজার ১৬৬ কোটি মার্কিন ডলার।

 

বিডি২৪অনলাইন/ইএন/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর