বাড়ছে ঋণ পরিশোধের চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ মে ২০২৫


বিগত সরকারের সময়ে নেওয়া অনেক মেগা প্রকল্পের বড় অঙ্কের ঋণ বাজেট সহায়তার গ্রেস পিরিয়ড শেষ হওয়ায় ক্রমাগত বাড়ছে ঋণ পরিশোধের চাপ। সেই সঙ্গে বাজারভিত্তিক উচ্চ সুদের হারও এতে প্রভাব ফেলেছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) জুলাই-এপ্রিল মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে)  প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক প্রতিশ্রুতি অর্থছাড় কমেছে। আর চলতি অর্থবছরে বেড়েছে ঋণ পরিশোধ।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে মোট ৩৫০ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ইন্টারেস্ট ১২৯ কোটি আর প্রিন্সিপাল ২২১ কোটি মার্কিন ডলার।

গত অর্থবছরে বাংলাদেশ তার উন্নয়ন সহযোগীদের পরিশোধ করেছিল মোট  ৩৩৭ কোটি ডলার ঋণ। ফলে একই সময়ের তুলনায় এবার ১৩ কোটি মার্কিন ডলার বেশি ঋণ পরিশোধ হয়েছে। ঋণ পরিশোধ বেশি হলেও বৈদেশিক প্রতিশ্রুতি অর্থছাড় হতাশজনকভাবে কমেছে। কমেছে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি ছাড়।

চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে মোট ৪২৬ কোটি ডলার। গত বছর একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৭৬০ কোটি ডলার। সে হিসাবে বৈদেশিক প্রতিশ্রুতি কমেছে ৩৩৪ কোটি মার্কিন ডলার।

চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে বৈদেশিক ঋণের ছাড় হয়েছে ৫১৬ কোটি মার্কিন ডলার। গত বছর একই সময়ে ছাড় হয়েছিল ৬২৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে বৈদেশিক ছাড় কমেছে ১১২ কোটি ডলার।

ইআরডির হিসাবে, গত অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণের আসল সুদ বাবদ পরিশোধ করেছিল মোট প্রায় ২৮১ কোটি ডলার।  এর সঙ্গে তুলনা করলে চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। সময়ে আসল পরিশোধ বেড়েছে ৩২ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীকে আসল বাবদ ২০০ কোটি ডলারের বেশি (.০২১ বিলিয়ন) পরিশোধ করা হয়েছে। আগের অর্থবছরে একই সময়ে আসল পরিশোধ করা হয়েছিল ১৬৬ কোটি ডলার। জুলাই-এপ্রিল সময়ে বেড়েছে সুদ পরিশোধ, পরিমাণে ১২ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ তার উন্নয়ন সহযোগীদের সুদ বাবদ পরিশোধ করেছে প্রায় ১২৯ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১১৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

 

বিডি২৪অনলাইন/ ইএন/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর