কাগজে কলমে প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ১৬৩ জন দেখানো আছে। কিন্তু প্রথম থেকে দশম শ্রেণীর মধ্যে শুধু ষষ্ঠ শ্রেণীতে তিনজন শিক্ষার্থীকে উপস্থিত পাওয়া গেছে। বাকি শ্রেণি কক্ষে চেয়ার-টেবিল ও বেঞ্চ ফাঁকা দেখা গেছে। পাওয়া যায়নি সুপারিন্টেনডেন্ট মোছা.রৌশনারা বেগমকেও।
রোববার (১৮ মে) দুপুর ১২ টায় পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার হোসেনাবাদ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় গেলে ১৬৩ জনের জায়গায় মাত্র ৩ জন শিক্ষার্থীকে পাওয়া যায়। এলাকাবাসী বলছেন, শিক্ষার্থী না থাকায় মাদরাসা বন্ধ হয়ে যায় দুপুরের মধ্যেই।
এদিকে এ মাদ্রাসায় ১৩ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী রয়েছে। প্রতিমাসে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন তারা। মাত্র ৩ জন শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের মোটা টাকা খরচ হচ্ছে বছরে।
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার পরিবেশ ঠিকঠাক করতে জেলা ও বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তারহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন নাগরিক ও এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, এমপিওভুক্ত দীর্ঘদিন আগে হলেও প্রতিষ্ঠানে ১০-১৫ জনের বেশি ছাত্র-ছাত্রী তারা দেখেননি। এমন মাদরাসা থাকা না থাকা একই কথা। তথ্যমতে, মাদরাসাটি ২০০২ সালে এমপিওভুক্ত হয়। দফায় দফায় ১২ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারীও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। ২০২৪ সালে দাখিল পরীক্ষায় ১৩ জন ও ২০২৫ সালে ৩ জন পরীক্ষার্থী ছিল।
অভিযোগ রয়েছে- নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কাগজপত্র জালিয়াতি করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কয়েকজন শিক্ষককে। মাদরাসায় নেই শিক্ষার পরিবেশ। ফলে দিন দিন শিক্ষার্থী শূন্যতা হয়ে পড়ছে মাদরাসাটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক জানান, মাদরাসাতে ১০-১২ জনের বেশি ছাত্র-ছাত্রী আসে না। তাছাড়া শিক্ষার মান একেবারে ভালো না। মাদরাসার শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আনতে অভিভাবক সমাবেশসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় তদারকির কথা জানান অভিভাবকরা।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা হয় হোসেনাবাদ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপারিন্টেনডেন্ট মোছা. রৌশনারা বেগমের সাথে। তিনি বলেন, মাদরাসার কাজের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসে আছি।
বোদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.আইবুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে