পঞ্চগড়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতার পরকীয়া প্রেম নিয়ে এলাকায় তোলপাড়

সম্রাট হোসাইন,পঞ্চগড়
৩০ এপ্রিল ২০২৫

 

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.আব্দুল হালিমের পরকীয়া প্রেমের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

আব্দুল হালিম জামায়াতে ইসলামী দেবীগঞ্জ উপজেলা আমির বিবাহ রেজিস্ট্রার এবং খারিজা গুয়াগ্রাম হাজরাডাঙ্গা দাখিল মাদরাসার সুপারিন্টেনডেন্ট। তিনি ফুলবাড়ি বাজার জামে মসজিদের ইমামও।

জানা গেছে, দেবীগঞ্জ ফুলবাড়ি এলাকার রফিক হাসান পাশের ষোলঘর এলাকার মিমি আক্তারের গত জানুয়ারি মাসে বিয়ে হয়। চাকুরির সুবাদে রফিক ঢাকায় থাকেন। মিমি খারিজা গুয়াগ্রাম হাজরাডাঙ্গা দাখিল মাদরাসা থেকে গত বছরে দাখিল পরীক্ষায় দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। আব্দুল হালিম তার শিক্ষক হওয়ায় মিমির বাড়িতে তার যাতাযাত ছিল। একপর্যায়ে তারা পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি মিমির স্বামী বুঝতে পেরে স্ত্রীসহ তার পরিবারকে সংশোধন হওয়ার কথা জানান। কিন্তু সংশোধন না হয়ে তাদের কার্যকলাপ চলমান থাকে। সম্প্রতি ঢাকা থেকে তার স্বামী সরাসরি শশুর বাড়ি গিয়ে তাদের পরকীয়া সংক্রান্ত প্রমাণ হাতে পায়।

স্থানীয়দের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে মসজিদের ইমাম থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়। পরে দেবীগঞ্জ থেকে শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা আবুল বাশার বসুনিয়া এসে এ ব্যাপারে ১৫ দিন সময় নেয়।

এদিকে মিমি বলেন, চেয়ারম্যানের জন্য আমার সংসার ভাঙতে বসেছে। আমি  স্বাভাবিকভাবে স্বামী সংসারে ফিরে যেতে চাই। সেই সঙ্গে উত্যক্ত করায় তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।

মিমির স্বামী রফিক হাসান বলেন, আমার স্ত্রীসহ তার পরিবারকে আগেই সংশোধনের কথা বলেছি। কিন্তু সংশোধন হয়নি। আমি যখন বুঝতে পারলাম তাদের সম্পর্ক চলমান। কাউকে না জানিয়ে ঢাকা থেকে গত সপ্তাহে সরাসরি শশুর বাড়ি গিয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে, সেখানে শতশত মেসেজ দেখি। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানানো হয়েছে।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক। এ ধরণের অনৈতিক কাজের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে ভিডব্লিউবি আবেদনের জন্য কল দিয়েছিলাম। ফোন না ধরায় একটা এসএমএস করেছি।

 

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর