সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালি এলাকায় গণপিটুনিতে কামরুল ইসলাম (৪০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোররাতে যৌথবাহিনীর অস্ত্র উদ্ধার অভিযানকালে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ৬ ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে সেনা বাহিনীর সদস্যরা।
কামরুল ইসলাম উপজেলার খলিশাখালি এলাকার মৃত আবু বকর গাজীর ছেলে। আটককৃতরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের নরিম সরদারের ছেলে নুরুজ্জামান, আশাশুনি উপজেলার শ্রীগঞ্জ গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে সোহেল, কালিগঞ্জ উপজেলার বাবুরাবাদ গ্রামের রুহুল আমিন গাজীর ছেলে মেহেরাব আলী, একই উপজেলার কাশিবাটি গ্রামের রুহুল আমিন সরদারের ছেলে হাসিবুল হাসান সবুজ, আকরাম গাজির ছেলে রবিউল আউয়াল ও বদরতলা এলাকার জামিল ফকিরের ছেলে আবুল হোসেন।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মাদ জানান, শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে খলিষাখালিতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। অভিযানে ১৫ টি হাত বোমা, ৩০ টি ছোট হাতবোমাসহবিভিন্ন দেশী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক জানান, খলিশাখালি এলাকায় অস্ত্র, গোলাবারুদ, বোমা মজুদ রেখে মাছের ঘের দখল, এলাকায় ডাকাতিসহ নান অপরাধ করে আসছিল স্থানীয় আকরাম হোসেন, আরিফুল ইসলাম পাড় ও সাইফুল ইসলাম গাজীসহ তাদের বাহিনী। এর পরিপ্রেক্ষিতে অপারেশন পরিচালনা করা হয়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে সন্ত্রাসীরা প্রথমে ইট-পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে। পরে দেশীয় বোমা এবং ককটেল বোমা ছুড়তে থাকে। এমনকি পাইপগান দিয়ে গুলি চালায়। এক পর্যায়ে স্থানীয় দেড় শতাধিক বাসিন্দা কামরুলসহ কয়েকজনকে ধরে ফেলে। তারা কামরুলকে পিটুনি দেয়। পরে সেনা সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে নিহত কামরুলের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন জানান, তার স্বামীকে মৎস্য ঘের থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বিডি২৪অনলাইন/কিশোর কুমার/সি/এমকে