এমপিওভুক্ত হওয়ার পরে বিদ্যালয়ে আসলেন শিক্ষিকা !

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
০১ মার্চ ২০২৪

 

ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ে আসেন মোছা. তাসরীন আকতার। তিনি এ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, এটা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়েন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা। এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান- শিক্ষিকাকে আমরা এর আগে কখনো বিদ্যালয়ে দেখিনি। এমনকি নামে কোন শিক্ষক আমাদের বিদ্যালয়ে ছিল, এটাও জানা নেই।

 

অবশ্য এনিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। বলেছেন, ওই শিক্ষিকাকে ২০১৫ সালে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এমপিও না হওয়ার কারণে বিদ্যালয়ে আসেননি।এমনকি আমিও আসতে দেইনি তাকে।

 

ঘটনাটি পঞ্চগড়ের শালবাহান উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটেছে। এদিকে ঘটনাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য এসএম মহসীনুল রহমান।

 

জানা যায়, গত মাসের এমপিও শীটে এ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক (শাখা) মোছা. তাসরীন আকতারকে নতুন এমপিওভূক্ত করা হয়েছে। এরপর ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ে আসেন তিনি। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির করা অভিযোগে বলা হয়েছে- প্রধান শিক্ষকের কথা অনুযায়ী, ওই শিক্ষিকা ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যোগদান করেন এ বিদ্যালয়ে।

 

এসএম মহসীনুল রহমান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক হয়তো অতিরিক্ত সুবিধা নিয়ে কাগজপত্র সৃষ্টি ও পেছনের তারিখে নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত করেছেন। এরপর শিক্ষিকাকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন।

 

প্রধান শিক্ষক মো.আবু বকর সিদ্দিক এমপিও প্রসঙ্গে জানান, এর আগে রংপুর ডিডি স্যারের কাছে বারবার এমপিও আবেদন করে শাখা জটিলতায় হয়নি। নতুন ডিডি স্যার আসার পরে এমপিওভুক্ত করার ব্যবস্থা করে দেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.ফজলে রাব্বি জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরে এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসারসহ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

বিডি২৪অনলাইন/সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর