জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি সংস্থার জন্য ৯ দেশের তহবিল স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ জানুয়ারী ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যসহ ৯টি দেশ ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউ-এর জন্য তাদের সহায়তা তহবিল স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় জড়িত অভিযোগে সংস্থাটি তার বেশ কয়েকজন কর্মীকে বরখাস্ত করার পর অর্থায়ন স্থগিতের বিষয়টি সামনে এলো। খবর বিবিসি।

খবরে বলা হয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, কানাডা, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড এবং জার্মানিও জাতিসংঘের সংস্থাকে অতিরিক্ত অর্থায়ন স্থগিত করেছে।  সম্প্রতি এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত অক্টোবরের হামলার সঙ্গে ইউএনআরডব্লিউএর অন্তত ১২ জন কর্মীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা ইসরায়েলের অভিযোগেশঙ্কিত  অভিযোগের যথাযথ তদন্ত না হলে ইউএনআরডব্লিউএ-এর তহবিলে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা বরাদ্দ বন্ধ থাকবে।

ইউএনআরডব্লিউএ গাজা, পশ্চিম তীর, জর্ডান, লেবানন এবং সিরিয়ার ফিলিস্তিনিদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা প্রদান করছে। গাজার অভ্যন্তরে সংস্থাটির প্রায় ১৩ হাজার কর্মী রয়েছে।

এদিকে হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় আগ্রাসন শুরু করে। ফলে লক্ষাধিক বাস্তুচ্যুত বেসামরিক মানুষকে আশ্রয় দিতে ইউএনআরডব্লিউএ গাজায় তাদের অবকাঠামোগুলো ব্যবহার করেছে। ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, তারা ইসরায়েলের সরবরাহকৃত তথ্যের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে ইউএনআরডব্লিউএ-সহ জাতিসংঘের বিভিন্ন শাখাকে পক্ষপাতিত্ব এবং এমনকি ইহুদি-বিদ্বেষের অভিযোগ এনেছে। ওদিকে বিবিসিকে সংস্থাটির সাবেক প্রধান মুখপাত্র ক্রিস্টোফার গুনেস জানিয়েছেন, সহায়তা তহবিল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এটা গাজায় আরও দুর্দশা সৃষ্টি করতে পারে।

অভ্যন্তরীণ তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ইউএনআরডব্লিউএ তাদের কর্মীদের বরখাস্ত করে ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রতি জিরো-টলারেন্স নীতি প্রদর্শন করেছে বলেও মনে করেন এ মুখপাত্র।

গত শুক্রবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এক উপদেষ্টা বিবিসিকে বলেন, গত অক্টোবর হামাসের হামলার সঙ্গে ইউএনআরডব্লিউএ-এর বেতনভুক্ত কর্মীরা জড়িত ছিল। ইউএনআরডব্লিউএ স্কুলের শিক্ষকরা হামলাকেউন্মুক্তভাবে উদযাপনকরেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযোগ জাতিসংঘের সংস্থার প্রধান দাতাদের কাছ থেকে বেশ কড়া প্রতিক্রিয়া সামনে এনেছে।

ইইউ বলেছে, তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপগুলো মূল্যায়ন করবে তারা। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, খবরে আতঙ্কিত তিনি। ইউএনআরডব্লিউএ- প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, সত্য কী ঘটেছে তারা জানার জন্য অভিযোগের সম্পূর্ণ তদন্ত করা হচ্ছে। মানবিক সহায়তা প্রদানে এজেন্সির ক্ষমতা রক্ষা করার জন্য স্টাফ সদস্যদের চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডেজড়িত থাকলে  যে কোনও কর্মীকে জবাবদিহি করা হবে।

ওদিকে ফিলিস্তিনি বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রী হুসেইন আল-শেখ বলেছেন, জাতিসংঘের সংস্থার জন্য কিছু দেশের সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক মানবিক ত্রাণকে বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। পশ্চিমা দাতাদের অবিলম্বে তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন: আন্তর্জাতিক সংস্থার জন্য সর্বাধিক সহায়তা প্রয়োজন।

 

বিডি২৪অনলাইন/আই/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর