পাবনা-৩: মনোনয়নপত্র জমা দিলেন এমপিসহ ৯জন, জিতবেন কে

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
৩০ নভেম্বর ২০২৩

মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন মো. মকবুল হোসেন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীসহ ৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তালিকায় পাবনা-৩ আসনের এমপি এবং উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান রয়েছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন এমপি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৯ জন হলেন, পাবনা-৩ আসনের এমপি মো. মকবুল হোসেন, চাটমোহর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল হামিদ, জাতীয় পার্টির মীর নাদিম মোহাম্মদ ডাবলু, জাকের পার্টির কামরুজ্জামান মো. হাদী, গণতন্ত্রী পার্টির মো. খায়রুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রবিউল করিম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. বেল্লাল মোল্লা, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মো. মাহাবুবুর রহমান জয় চৌধুরী ও জাসদের মো. আবুল বাশার শেখ।


সংসদীয় এলাকা ৭০ পাবনা-৩ আসনটি চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। মনোনয়ন জমা দেওয়া ৯ জনের মধ্যে আ. হামিদ মাস্টার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাননি। তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদে দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এ আসনে এমপি পদে টানা তিনবার জয় পেয়েছেন মো. মকুবল হোসেন। তাঁর বাড়ি ভাঙ্গুড়া উপজেলায়।

পাবনা-৩ আসনে এবারের নির্বাচনে মো. মকবুল হোসেন ও মো. আব্দুল হামিদ- এ দুজনই হেভিওয়েট প্রার্থী বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকসহ সাধারণ ভোটাররা। কারণ, দু’জনই দীর্ঘদিন হচ্ছে আওয়ামী রাজনীতি করছেন। অন্যান্য প্রার্থীর দলের তুলনায় তাদের ভোটার বেশি। তাদের দু’জনের মধ্যে একজনের জয়ের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

এদিকে এবারের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিজের উপজেলার প্রার্থীকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বেশি শোনা যাচ্ছে চাটমোহরে ভোটারদের মুখে।

আসনটিতে মোট ভোটার সাড়ে চার লাখের বেশি। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি ভোটার চাটমোহর উপজেলায়। নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে, ভোটার চাটমোহর উপজেলায় লাখ ৪৪ হাজার ৫৩৯ জন, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ১ লাখ ১ হাজার ৬০৮ জন  এবং  ফরিদপুর  উপজেলায় ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৪ জন।  

 

বিডি/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর