সাধারণভাবে সর্দি-কাশি হলে শ্বাসকষ্ট হয়। অনেকের সাইনোসাইটিস হলেও শ্বাসকষ্টের প্রকোপ বাড়ে। সাইনোসাইটিসের ক্ষেত্রে ঠিক ফুসফুস শ্বাসকষ্টের জন্য দায়ী নয়। এ ক্ষেত্রে নাকের ভেতরের গাত্র প্রদাহে আক্রান্ত হয়ে ফুলে যায়, তাই প্রয়োজনীয় বাতাস নাক দিয়ে ফুসফুসে ঢুকতে পারে না।
১. ফুসফুসে পানি জমে গেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়।
২. হৃৎপিণ্ডের বাম পাশের কার্যকারিত কমে গেলেও ভয়াবহ পারে শ্বাসকষ্ট।
৩. অ্যাজমা বা হাঁপানি থাকলে, ব্রঙ্কাইটিসের কারণে ফুসফুসের ব্রঙ্কিউলের কিছু কিছু অংশ বন্ধ হয়ে গেলে হতে পারে।
৪. আবার কোনো কারণে ফুসফুসের ভেতরের ছোট ছোট রক্তনালির অভ্যন্তরের রক্ত জমাট বেঁধে গেলে হতে পারে।
৫. ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা যেমন ডায়াবেটিস কিটোএসিডোসিস হলে, রক্তে এসিডের মাত্রা বেড়ে গেলেও আপনি শ্বাসকষ্টে ভুগতে পারেন।
তবে, জ্বরের মতো শ্বাসকষ্ট নিজে কোনো রোগ নয়। এটি অন্যান্য রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়। সাধারণত নাক বন্ধভাব, সর্দি, চোখে চুলকানি ও পানি ঝরা, বুকে চাপ চাপ বোধ, কাশি, হাঁচি, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস ইত্যাদি উপসর্গ শ্বাসকষ্টের সঙ্গে থাকে।