আসছে নতুন বছর। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টানোর সাথে সাথেই করতে হবে নতুন শুরু। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বেড়েছে জীবনযাত্রার খরচ। তাই হয়তো অনেকেই ভাবছেন নতুন বছরে খরচটা কমিয়ে কিছুটা স্বাভাবিক জীবন-যাপন সহজ করবেন।
হুট করে যেমন আপনার আয় বাড়ানো যায় না, তেমনি হুট করে বড়সড় কোনো খাতের খরচ কমানোও যায় না। কিন্তু এরপরও এমন কিছু ছোটখাটো বিষয় থাকে যেগুলো সমন্বয় করে সাশ্রয়ী হয়ে ওঠা যায়।
১. সাশ্রয় করুন বিদ্যুৎ
বিদ্যুৎ–সাশ্রয়ী সামগ্রী ব্যবহার করুন। বিনা প্রয়োজনে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম দিয়ে রাখবেনই না। এই যেমন প্রয়োজন ফুরালেই রাউটার বন্ধ করে প্লাগ খুলে নেওয়া ভালো। ঘুম থেকে উঠে পড়ুন ভোরবেলা। দিনের আলোয় কাজ সারুন, যাতে রাতে খুব বেশি বাতি জ্বালানোর প্রয়োজন না পড়ে, কিংবা মৃদু আলোতেও কাজ চলে। রাত জেগে টেলিভিশন দেখা বা মুঠোফোন চালানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন।
২. সুস্থ থাকুন, খরচ কমান
এক দুই কিলোমিটারের পথ হেঁটে পার করুন। রোজ এভাবে টাকাও বাঁচবে স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। রোজ হাঁটার ফলে আপনি নিজেকে ‘ফিট’ রাখতেও পারবেন বিনা খরচে। সুস্থ থাকার জন্য জিমে গিয়ে বাড়তি টাকা খরচ করার প্রয়োজনই পড়বে না। যেকোনো একটি বেলায় বাড়ির কাছের পার্কে কিংবা বাড়ির ছাদে ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করে নিন। শিশুদের নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করুন জিমের প্রয়োজনই হবে না।
৩. অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা থেকে বিরত থাকুন
প্রয়োজন না হলে ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে কোনো কিছু কিনবেন না। কারো দেখেছেন জন্যেই নিতে হবে এই ধারণা বর্জন করুন। নতুন পোশাক, নতুন সরঞ্জাম কেনার আগে নিজেকে গিজ্ঞেস করুন এটা সলেই কী আমার প্রয়োজন আছে? আগে পুরোনো পোশাকের নকশায় ও ধরনে খানিক বদল আনতে পারেন। সৌন্দর্যচর্চার কিছু কাজ বাড়িতেই করে নিতে পারেন।
৪. খাবারদাবার
পুষ্টিকর, ঘরে তৈরি, মানসম্মত খাবার খান। প্যাকেটজাত খাবার কম কিনুন। মাসে এক বা দুবারের বেশি রেস্টুরেন্টে খাওয়া পরিহার করুন। এতে খরচও কমবে স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। সপ্তাহে প্রোটিনের সাথে শাকসবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। মিষ্টিজাত খাবার বিশেষ দিন ছাড়া খাবেন বা বানাবেন না। এতে স্বাস্থ্যও যেমন ভালো থাকবে খরচও কমবে।
৫. বিনোদন ও সামাজিকতা
বিনোদনের জন্য এমন আনন্দময় কাজ করুন, যাতে খরচ কম। বন্ধুরা মিলে বই পড়ার অভ্যাস করতে পারেন। এতে ডিজিটাল ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীলতাও কমবে। এক বন্ধুর বই দশজন পড়তে পারবেন। মাসে পরিকল্পনা করে এক বার সিনেমা দেখতে যেতে পারেন। উৎসব-আয়োজনে কাউকে উপহার দিতে হলে নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে পারেন কিংবা অন্যদের সঙ্গে মিলে উপহার কিনতে পারেন।