পঞ্চগড়ে বৃষ্টিরমতো ঝড়ছে কুয়াশা, হিমেল বাতাস, আর কনকনে শীতের দাপটে নাকাল হয়ে পড়েছে এ জেলার জনজীবন। দূর্ভোগে পড়েছে কর্মজীবি মানুষ। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস বলছে, হিমালয়ের হিম বাতাসের প্রভাবে দিন দিন শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।গত মঙ্গলবার সকালে এই পর্যবেক্ষনাগারে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।বাতাসের গতি ঘন্টায় ১০ থেকে ১২কিলোমিটার।এর আগে সোমবার সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছিল।এ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২১ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
সরজমিনে,সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় সড়ক ও মাঠঘাটে দৃষ্টিসীমা কমে যায়।ফলে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাতে বাজারে কেউ অবস্থান করছেনা। রাত থেকেই পাহাড়ি হিম বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা।খড়খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে অনেকে।দুপুর ২ টা পর্যন্তও সূর্যের দেখা মিলেনি।
চাওয়াই নদী থেকে বালি উত্তোলনকারী আনারুল ইসলাম বলেন, ঠাণ্ডার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গেছে। কিন্তু এই ঠাণ্ডার মাঝে কাজ না করলে না খেয়ে থাকতে হবে।সময় এখন ঠান্ডার তাই বলে বসে থাকা যাবেনা।
কথা হয় রাজমিস্ত্রি শ্রমিক শাহীনের সাথে, আমরা গরিব মানুষ।কাজ করে দিন চালাই। তবে এই শীতে সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো সহায়তা না পাওয়ায় আক্ষেপ করে বলেন, আমরা গরিব মানুষ আমাদের কীসের শীত পেটের খিদার কাছে শীত কিছু না।
অটোচালক নুর মোহাম্মদ বলেন,সকালে ও রাতে ঘনকুয়াশায় সড়কে দৃষ্টিসীমা কমে যায়।তাই লাইট দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন,আকাশে হালকা মেঘ রয়েছে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত পুরো সময় কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে। দিনের বেশির ভাগ সময়ও কুয়াশা থাকায় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায়, সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে পড়ে না।এজন্য ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয় না।ফলে বেশিরভাগ সময় ঠান্ডা অনুভূত হয়।চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ এবং জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের দিকে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে