নতুন দলীয় পরিচয় নিয়ে আবারো আলোচনায় রাজা

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

এতোদিন গণসংযোগ করেছেন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে। কিন্তু শেষে এসে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন গণঅধিকার পরিষদ থেকে। এ নিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন হাসানুল ইসলাম রাজা।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা-৩ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন রাজা। নির্বাচন কমিশনে তার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে টিকে গেলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরিষদের নির্বাচনী প্রতীক ট্রাকে ভোট করবেন তিনি। গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে রাজা দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।

রাজাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে। চব্বিশের ৫ আগস্টের পর পাবনা- আসনের রাস্তায় রাস্তায়, মাঠে-ঘাটে তার ছবিসহ পোস্টার, ব্যানার সাটানোই আলোচনার কারণ। সে সময় থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী হিসেবে তাকে গণনায় ধরেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষরা।

তার ব্যানার ও বিলবোর্ডে ঘুষ, দুর্নীতি,অনিয়ম, সন্ত্রাস, দখলদার চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় আলোচনায় নতুন মাত্রা শুরু হয়।  স্থানীয় প্রার্থীর দাবিতে তার পক্ষ থেকে মাইকিং করতেও দেখা যায়। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে গণসংযোগ শুরু করেন তিনি। কিন্তু বিএনপির মনোনয়ন না পেলেও তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেন রাজা। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ ভোটাররা ধরেই নিয়েছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করে অন্য দল থেকে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেন তিনি।

রাজা ঢাকাস্থ সেন্ট্রি সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার বাড়ি চাটমোহরের আফ্রাতপাড়া মহল্লায়। এর আগে ২০১৮ সালেও জাতীয় নির্বাচনে পাবনা- এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন রাজা।

এদিকে রাজনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটের দিকে সময় গড়ানোর সঙ্গে জটিল সমীকরণে রূপ নিচ্ছে পাবনা-৩ এর নির্বাচনী মাঠ। রাজার বাইরে বিএনপি ও  জামায়াত থেকে দলীয় মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।  দলীয় সমর্থন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন বিএনপির সাবেক এমপি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম। পাবনা-৩ (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা) আসনের মধ্যে চাটমোহর উপজেলায় ভোটার বেশি। এ পযন্ত চাটমোহর উপজেলা থেকে প্রার্থী হয়েছেন ৩ জন। এ ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাইয়ে কারও মনোনয়নপত্র বাতিল না হলে বা প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করলে চাটমোহর উপজেলায় ভোট চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে ধারণা করছেন রাজনীতি বোদ্ধারা।

 

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে  

 



মন্তব্য
জেলার খবর