নাটোরের গুরুদাসপুরে হাসান প্রামানিক নামের এক মৎসজীবীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মাছধরাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সজিব হোসেন ও তার সহযোগীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের লোকজন।
এদিকে এ ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩/৪ জন অজ্ঞাতনামা রেখে গুরুদাসপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন হাসান প্রামানিক। এরপর থেকেই ভুক্তভোগীকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে ও ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছে না অভিযুক্তরা, এমনটাই বলেছেন হাসান প্রামানিক। এ পরিস্থিতিতে জীবনের নিরাপত্তা ও অভিযুক্তদের বিচার দাবিতে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) নিজের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছে হাসান ও তার পরিবার।
ভুক্তোভোগী হাসান উপজেলার বিয়াঘাটের হরদমা গ্রামের ছলেমান প্রামানিকের ছেলে। অভিযুক্তরা একই এলাকার বাসিন্দা। ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার বিকালে চলনবিলের হরদমা অংশে মাছ শিকারের জাল পেতে রেখেছিল হাসান। সেই জাল উঠিয়ে তার অদুরে জাল পাতে সজিব হোসেন। এঘটনা দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে সজিবের নেতৃত্বে তার পিতা পাইক্যাম,সরুজ আলী,আকাশসহ আরও ৩/৪ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হাসানের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা হাসানকে না পেয়ে ঘড়-বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। অভিযুক্তরা নগদ অর্থ ও স্বর্নালংকার মিলে প্রায় ৪ লাখ টাকার সম্পদ লুট করে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী হাসান।
অন্যদিকে হাসানের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্তদের একজন সজিব হোসেন। তিনি জানান, হাসান সম্পর্কে তার সৎভাই। তার বড় ভাই জুয়েল ও হাসান একই সাথে মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন। হাসান বাড়ি আসার সময় বড়ভাই তার কাছে কিছু টাকা,স্বর্নালংকার ও ব্যবহার্য্য জিনিসপত্র পাঠান। সেগুলি না দিয়ে আত্মস্যাৎ করতে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রারি করছে সে। বাড়ি-ঘড় ভাংচুর বা লুটপাটের কোন ঘটনা ঘটেনি।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দুলাল হোসেন বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তের জন্য একজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছেন। প্রতিবেদন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে