বিদেশে পাচার ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৮ অগাস্ট ২০২৫

দেশ থেকে অর্থ পাচারের মাধ্যমে বিদেশে গড়ে তোলা প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। গত জানুয়ারি থেকে পর্যন্ত দেশের  শহরে অনুসন্ধান চালিয়ে এ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর বাইরে ৯ দেশে ৩৫২টি পাসপোর্টের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেগুলো কিছু বাংলাদেশি টাকার বিনিময়ে সংগ্রহ করেছেন। এ অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতরা শেখ হাসিনার আমলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডাটাবেজ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় নিজেদের লোক বসিয়ে বহু তথ্য গায়েব করে দিয়েছে। যদিও মুছে দেওয়া তথ্য উদ্ধারে দক্ষতা অর্জন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)

 

রোববার (১৭ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টা . মুহাম্মদ ইউনূসকে বিষয়টি জানিয়েছেন সিআইসি মহাপরিচালক আহসান হাবিব। ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ তথ্য জানানোর সময় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানও  উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি এসব তথ্য জানান।

৩৫২টি পাসপোর্টের সন্ধান পাওয়া ৯ দেশ হচ্ছে- অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারমুডা, অস্ট্রিয়া, ডমিনিকা, গ্রানাডা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, নর্থ মেসিডোনিয়া, মালটা, সেন্ট লুসিয়া এবং তুরস্ক।

আহসান হাবিব জানান, দেশে বসেই বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দেশগুলোতে সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিস্তারিত তথ্য তুলে নিয়ে আসেন সিআইসির গোয়েন্দারা। এ বিষয়ে আরও অনুসন্ধান চলমান আছে।

সিইসি মহাপরিচালক জানান, এখন পর্যন্ত  ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের নামে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের মাধ্যমে গড়ে তোলা ৩৪৬টি সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে।  এটা অনুসন্ধানের আংশিক চিত্রমাত্র।

এসব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বাংলাদেশের অনুকূলে নিয়ে আসতে কাজ করছে সিআইসি। সেই সঙ্গে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সাজা নিশ্চিত করতেও কাজ করা হচ্ছে। ৬টির বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে। সিআইসির কাছে এখনো প্রচুর তথ্য রয়েছে। এসব উন্মোচন করতে আরও সময় প্রয়োজন বলেও জানান সিআইসি মহাপরিচালক

এদিকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এ জন্য দুদক, সিআইসি পুলিশের সিআইডিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। যতদূর সম্ভব গভীরে যেতে হবে এবং সম্ভাব্য আরও দেশে অনুসন্ধান বিস্তৃত করতে হবে।

 

প্রধান উপদেষ্টা জানান, দেশের সম্পদ দেশে ফিরিয়ে আনতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সরকার। ভবিষ্যতে কেউ যেন দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে সম্পত্তি তৈরি করতে না পারে, এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।

 

 

বিডি২৪অনলাইন/ইএম/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর