২ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা পাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ মে ২০২৫

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দেশ থেকে পাচার হয়েছে ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার। এক ব্যক্তি একাই ৩৫০টি বাড়ি কিনেছেন বিদেশে। মূলত ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পাচার করা হয়েছে এ টাকা। পাচার করা ডলারের পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় প্রায় লাখ ২০ হাজার থেকে লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) চলতি অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিষয়টি জানান গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

পাচার অর্থ ফেরাতে ১১টি গ্রুপ নিয়ে যৌথ তদন্ত চলছে বলে জানান গভর্নর। বলেন, পাচারের অর্থ ফেরত আনার বিষটি বাংলাদেশের জন্য নতুন। ধরনের কাজ করার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। পাচারের অর্থ ফেরত আনার কাজ গতিশীল করতে চেষ্টা চলছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে আনার। এজন্য পরিবর্তন আনা হবে প্রচলিত আইনে

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে মনে করছেন গভর্নর। তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে এক ব্যক্তির বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। আরও সম্পদ সামনে  জব্দ  হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কাউকে হয়রানি নয়, পাচারকারীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আদালতের বাইরে সমাধানে পৌঁছানো আমাদের লক্ষ্য- যোগ করেন গভর্নর। গভর্নর বলেন, কারও ব্যবসা বন্ধ করাই আমাদের উদ্দেশ্য নয়, কারও ব্যবসা বন্ধও করা হয়নি এ নিয়ে। যাদের ব্যবসা বন্ধ হয়েছে,  সেটা অন্য কারণে হয়েছে।

বিএফআইইউ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরে তাদের কাছে পাঠানো সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত হয়েছে ১৭ হাজার ৩৪৫টি।  এর আগের অর্থবছরে এ সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ১০৬টি। সে হিসাবে ধরনের লেনদেন প্রতিবেদনের সংখ্যা বেড়েছে হাজার ২৩৯টি। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে সংখ্যা ছিল হাজার ৫৭১টি, ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল হাজার ২৮০টি এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩৬৭৫টি। গত অর্থবছরে ১১৪টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার কাছে পাঠিয়েছে বিএফআইইউ।

বিডি২৪অনলাইন/ইএন/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর