জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আব্দুল হামিদ যে রাষ্ট্রপতি ছিল উনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। শেখ হাসিনার সরকার পতনের ৯ মাস পরে উনি কিভাবে দেশ ছেড়ে যায়? আওয়ামী লীগের যে কয়েকজন সুবিধাভোগী দেশে ছিল, তার মধ্যে অন্যতম তিনি। তিনি পালিয়েছেন নাকি তাকে পালাতে দেওয়া হয়েছে? তার পালিয়ে যাওয়া অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় ঐতিহাসিক বার আউলিয়া মাজারে বার্ষিক ওরস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলে। তিনি আরও বলেন, এ সরকার এখন পর্যন্ত একটা হত্যা মামলার বিচার করতে পারেনি। একটা মৌলিক সংস্থার বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এগুলো না করার পূর্ব পর্যন্ত যদি চিন্তা করে- তারা একটি নির্বাচনের কথা বলবে, তাহলে এ রক্তের সাথে তাদের বেইমানি করা হবে। এটা অন্তরবর্তীকালীন সরকার কিংবা প্রফেসর ডক্টর ইউনুসের ভুলে গেলে চলবে না, যে হাজারের অধিক শহীদের জীবনের উপরে লক্ষ আহত ছাত্রজনতার রক্তের উপরে এ সরকার দাঁড়িয়ে আছে।
সারজিস বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে বলেছি- পূর্ণাঙ্গ সংস্কার কখনো এক বছর বা দেড় বছরের মধ্যে সম্ভব না। কিন্তু একটা মৌলিক সংস্কার যেই মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা আমরা নিজে এনসিপির পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের কাছে গিয়ে উপস্থাপন করেছি। ওই মৌলিক সংস্কারগুলো যেগুলোর সাথে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন জড়িত, যেগুলোর সাথে সুষ্ঠু একটি বিচার ব্যবস্থাপনা জড়িত, ওই সময়ের জন্য যেগুলোর সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করাটা জড়িত, এ মৌলিক সংস্কারগুলো করে যদি এ অন্তর্র্বতীকালের সরকার মনে করে ডিসেম্বরে হোক, মার্চে হোক আর জুনের মধ্যে হোক নির্বাচন দিতে তারা পারবে, আমাদের কোন আপত্তি নেই।
এনসিপির এ নেতা বলেন, এখন সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক হাতিয়ার হচ্ছে মিথ্যা মামলা। আমরা চাই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের নামে মামলা হবে, বিচার হবে, দৃশ্যমান শাস্তি হবে। কিন্তু আমরা কখনো এটা চাই না- একজন নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হবে। কোন একজন মানুষ যে কোন রাজনৈতিক দলের হোক না কেন, সে যদি কোনদিন অন্যায় না করে অপকর্ম না করে ক্ষমতার অপব্যবহার না করে তাহলে তার নামে মিথ্যা মামলা কেন হবে। যদি হয় তাহলে যারা করছে, তার সাথে আওয়ামী লীগের পার্থক্য কোথায়?
বিডি২৪অনলাইন/সম্রাট হোসাইন /সি/এমকে