পঞ্চগড়ে আব্দুর রাজ্জাক নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী যুবকের বিরুদ্ধে মাদক মামলা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় তার মা-বাবা সংবাদ সম্মেলনে করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, আটকের পর উৎকোচ না পেয়ে ডিবি পুলিশ তাকে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের পাইকানিপাড়ায় ওই যুবকের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। আব্দুর রাজ্জাক ওই এলাকার ইমান আলীর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে ইমান আলী বলেন, বাড়ির সামনের পাকা সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলো আব্দুর রাজ্জাক। স্থানীয়দের সামনে থেকেই তাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয় কয়েকজন লোক। ছেলেকে আটকের কারণ জানতে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে একজন আমার ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি দিতে পারিনি, তাই তারা মাদক মামলায় হাজতে পাঠিয়েছে আমার ছেলেকে। সে একদিকে মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী, অপরদিকে মৃগিরোগে আক্রান্ত। দীর্ঘদিন ধরেই তার চিকিৎসা চলছে। প্রতিবন্ধী হিসেবে সরকারি ভাতা পায় সে।
আব্দুর রাজ্জাকের মা রওশন আরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলে একা কোথায় যেতে পারে না। সে অসুস্থ। আমরা তার চিকিৎসার সব কাগজ পুলিশকে দেখিয়েছি। তারপরও পুলিশ ছাড়ে দেননি।
স্থানীয় জসিম, তারামিয়া, ফয়জউদ্দীন বলেন, ওই ছেলেকে কখনো সিগারেট খেতেও দেখিনি। তাকে তুলে নিলো আমাদের সামনে থেকে। আর মামলায় দেখালো দুই কিলোমিটার দুরের স্থান। ডিবি পুলিশের এমন মিথ্যাচারের নিন্দা জানাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আব্দুর রাজ্জাককে আটকের পরই পঞ্চগড় ডিবি পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় একটি এজহার করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন- আব্দুর রাজ্জাককে পঞ্চগড়-হাড়িভাসা সড়কের খালপাড়া থেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার কাছে ৮৯ পিস নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য টাপেন্টাডল ট্যাবলেট পাওয়া যায়। মামলায় আব্দুর রাজ্জাকের বড় ভাই আল আমিনকেও আসামী করা হয়েছে।
মামলার বাদী ডিবি পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান বলেন, মূলত তারা দুইভাই ছিলো। আমরা একজনকে ধরতে পেরেছি। আর জায়গাটা বড় বিষয় না, সেখানে পুলিশের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তিও হয়েছে। আমরাও তার চিকিৎসার কাগজগুলো দেখেছি, মানসিক সমস্যার কাগজ পাইনি।
বিডি২৪অনলাইন/সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে