দেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চলমান বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরকারের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার ঘটনার দোষী সাব্যস্ত করে সরকারের নির্বাহী আদেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে দল-সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, পরে প্রজ্ঞাপনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
গেজেটে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া কয়েকটি মামলার রায়ে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধে দায়ী হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের এক রিট পিটিশনের রায়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন নির্বাচন কমিশন বাতিল করেছে। আপিল বিভাগও ওই রায়কে বহাল রেখেছে।
সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, জামায়াতে এবং ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত। সরকার বিশ্বাস করে জামায়াত ও শিবিরসহ এর সব অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাই ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮(১) এ দেওয়া ক্ষমতাবলে জামায়াতে ও ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
এর আগে সম্প্রতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের বৈঠকে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ২৪অনলাইন/আরডি/এমকে