ইভিএম ব্যবহার করবে না ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ জুলাই ২০২৫

দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)  ব্যবহার করা হবে না। শুধু জাতীয় নির্বাচনেই নয়, স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনেও  এ মেশিন  ব্যবহার হবে না। পৃথক কমিটি গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাতে থাকা ইভিএমের বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সাংবাদিকদের তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। এর আগে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অষ্টম কমিশন সভা হয়।  

নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, পতিত শেখ হাসিনার সরকারের সময় ভোটে ইভিএম ব্যবহারের জন্য ইভিএম ব্যবহার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এতে মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে হাজার ৬৭৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনার (ডিপিপি) ভিত্তিতে দেড় লাখ ইভিএম সেট আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি, ৬টি সফটওয়্যার, ৫টি যানবাহন এবং হাজার ২০০টি র‌্যাক কেনা হয়।

এ ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দুই চুক্তির আওতায় ৩৯ হাজার ৯৯৯টি ইভিএম সেট মেরামত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে ভাড়া গুদামে এবং বিএমটিএফের ওয়্যারহাউজে ইভিএম সেট সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনে ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণ সাপোর্ট দিচ্ছে  বিএমটিএফ।

ইসি জানানয়, ইভিএম প্রকল্পের ডিপিপি অনুসারে আর্থিক অগ্রগতি মোট প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৯৬ শতাংশ। আর বাস্তব ক্রমপুঞ্জিত অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

২০১১ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে দেশে প্রথমবারের মতো ইভিএম ব্যবহার করা হয়। এ ইভিএম তৈরি করেছি বুয়েট। পরবর্তীতে স্বল্প পরিসরে ইভিএম ব্যবহার শুরু হয়। ২০১৩ সালে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে জটিলতা দেখা দেয়। এ কারণে পরবর্তীতে সেটি আর ব্যবহার করা হয়নি।

শেখ হাসিনার সময় কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। লক্ষ্যে ইভিএম তৈরি করে বিএমটিএফ। ২০১৭ সালে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডের ছয়টি কক্ষে পরীক্ষামূলক আবার ইভিএম ব্যবহার করা হয়। এরপর দেড় লাখ ইভিএম কিনতে ২০১৮ সালে প্রকল্প হাতে নেয় শেখ হাসিনার সরকার। প্রকল্পে  বরাদ্দ ধরা হয় হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। পরে মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হলেও বাড়ানো হয়নি বরাদ্দ। গত  জুনে  সেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়।

 

বিডি২৪অনলাইন/এনএন/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর