২০১৭-১৮ সালে ব্যাংকিং উৎস থেকে ১১ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি ঋণ নিয়েছিল সরকার। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সেটা এক লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। শুধুমাত্র চলতি জুন মাসেই এ খাত থেকে  ৬১ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে হচ্ছে সরকারকে।

ব্যাংকিং উৎস থেকে সরকার বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ হ্রাস পায়। এতে সেখানে বিনিয়োগ ব্যাহত হয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় না। তাই ব্যাংকিং উৎস থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রবণতা কমানোর দাবি উঠেছে জাতীয় সংসদে।

রোববার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে ব্যাংক খাত থেকে নেওয়া সরকারি ঋণের পরিসংখ্যান ও বেশি ঋণ নেওয়ার নেতিবাচক প্রভাব তুলে ধরে এ দাবি জানান ঝিনাইদহ-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিষয়টি সামনে আনেন তিনি।

সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী সংসদকে বলেন, এ পর্যন্ত ব্যাংক থেকে সরকারের গৃহীত ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা।  আগামী অর্থবছরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে ব্যাংক উৎস থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ঋণ নিলে এ খাত থেকে সরকারের ঋণের স্থিতি প্রায় ছয় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।  

ব্যাংকিং উৎস থেকে সরকারের ঋণ যেন কমে আসে এবং  বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহটা যেন বৃদ্ধি পায়- সংসদে সে দাবি জানান এ সংসদ সদস্য। বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগ বিঘ্নিত হলে শিল্প ও সেবাখাতের অগ্রগতি বিঘ্নিত হয়। এতে দেশের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস পায়,বেকারত্ব বাড়তে থাকে। তাই সরকারের উচিত ব্যাংক থেকে বেসরকারি খাতে ঋণ নেওয়ার সুযোগ বাড়িয়ে দেওয়া। এটা বাড়িয়ে দিতে চাইলে ব্যাংকিং উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের প্রবণতা কমাতে হবে সরকারকে।

ওদিকে  কালোটাকা সাদা করা নিয়ে সংসদে কথা বলেছেন আরেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কিশোরগঞ্জের সোহরাব উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এতো বেশি হারে কর দিয়ে অনেকে অপ্রদর্শিত আয় প্রদর্শন করবে না বলেও মনে করেন তিনি। তার মতে, বাজেটে কালো টাকা সাদা করা নয়, বৈধ অপ্রদর্শিত আয় প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কর ৫ শতাংশ করলেও অসুবিধা নেই। কর যতো কমানো হবে, ততো বেশি টাকা প্রদর্শিত হবে বলেও জানান তিনি।

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে