বছরে ক্ষতি হচ্ছে ২৭শ’ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ এপ্রিল ২০২৪

বৈশাখের  দাবদাহে ওষ্ঠাগত জনজীবন। কোথাও মিলছে না স্বস্তি। কাঠ ফাঁটা রোদে পুড়ছে গোটা দেশ। খরায় শাক-সবজির উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে  প্রতিবছর দাবদাহের কারণে ঢাকায় উৎপাদনশীল খাতে দুই হাজার ৭শ’ কোটি ডলার ক্ষতি হচ্ছে। ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ ৬শ’ কোটি ডলার ক্ষতি হবে কেবল পোশাক খাতে। কর্মঝুঁকিতে পড়বেন প্রায় আড়াই লাখ পোশাককর্মী।

পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং কর্মক্ষেত্রে জৈবরাসায়নিক দূষণ শীর্ষক আলোচনা সভায় ক্ষতি সংক্রান্ত তথ্য ও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার এক হোটেলে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন (ওশি)

সভায় এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে দাবদাহকে সরকারিভাবে দুর্যোগ ঘোষণার দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত নীতিমালায় দাবদাহ নিঃসরণ সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা, শুষ্ক এলাকার জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ এবং  প্রচলতি শ্রম আইনে দাবদাহকে পেশাগত স্বাস্থ্যের অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বলা হয়।

ওশি ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সাকি রেজওয়ানা আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক . শেখ তৌহিদুল ইসলাম।

মূল বক্তব্যে জানানো হয়, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে এপ্রিল মে- এ দুই মাসে নিজেদের মোট কর্মঘণ্টার ২৫ শতাংশ হারাতে পারেন শ্রমিকরা। এতে প্রাক্কলিত আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- ওশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপারসন . এস এম মোর্শেদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক . তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের অধ্যাপক জোসিন্তা জিনিয়া প্রমুখ।

 


মন্তব্য
জেলার খবর