৩৪২ শতাংশ বেড়েছে বিদেশি ঋণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ মার্চ ২০২৪

১৫ বছর আগে, ২০০৮ সাল শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। ২০২৩ সাল শেষে সামগ্রিক বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০০ দশমিক বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে ১৫ বছরে বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৭৭ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। শতাংশের পরিমাণে প্রায় ৩৪২।

শুধু তাই নয়, দেশের ইতিহাসে বিদেশি ঋণের পরিমাণ প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন  (১০ হাজার কোটি) ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এ ঋণের ৭৯ শতাংশই সরকার এবং বাকি ২১ শতাংশ বেসরকারি খাত নিয়েছে। বিদেশি ঋণের পরিমাণকে বাংলাদেশি টাকায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে) বিনিময় করলে  এর  পরিমাণ দাঁড়ায় ১১ লাখ হাজার ৪০ কোটি টাকা। মাথাপিছু হিসাব করলে ৬৯ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি ঋণের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে বিদেশি ঋণের এ তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্টোবর-ডিসেম্বর গত বছরের এ তিন মাসে দেশের বিদেশি ঋণ দশমিক শূন্য বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। সরকারের বিদেশি ঋণ বেড়েছে দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। পক্ষান্তরে বেসরকারি খাতে ৩৩ কোটি ডলার কমেছে এ ঋণ।

গত ডিসেম্বর শেষে সরকার সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ঋণ ছিল ৭৯ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার, বেসরকারি খাতে ছিল ২০ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার।

তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়,  গত বছরে দেশের বিদেশি ঋণ দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এ ঋণের পরিমাণ ছিল ৪১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছর এসে দাঁড়ায় ৯৮ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারে।

পরিসংখ্যান বলছে, সবচেয়ে বেশি বিদেশি ঋণ বেড়েছে ২০১৮ সালের পর।  বিদেশি ঋণ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬৮ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার থাকলেও ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৯ শতাংশ বেড়ে যায়, পরিমাণ দাঁড়ায় ৮১ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বেড়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯৫ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। গত অর্থবছরের আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়ায় ৯৮ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারে।

 

বিদেশি ঋণ এসেছে সরকারের বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ এসেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে, ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে দশমিক বিলিয়ন ডলার, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য প্রকল্পে ৪৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা।

প্রকল্প ভিত্তিক যথাক্রমে রাশিয়া, চীন, ভারত ও জাপান থেকে এ ঋণ নেওয়া হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নিচ্ছে, এ ঋণের পরিমাণ এখন ১১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।

জনশুমারি গৃহগণনা শুমারির সর্বশেষ উপাত্ত অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেই হিসাবে মাথাপিছু বিদেশি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৯২ ডলার বা প্রায় ৬৯ হাজার টাকা। তবে জুনের হিসাবে এর পরিমাণ ৫৭৪ ডলার।   বছর আগে  দেশের মানুষের মাথাপিছু  বিদেশি ঋণ ছিল ২৫৭ ডলারের কিছু বেশি।

 

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর