অনেকদিন হচ্ছে নিত্যপণ্যের চড়া দামে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রোযার মধ্যে কিছু পণ্যের চড়া দামে ভোক্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। বিশেষ করে মাছ-মাংস ও আগাম গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম নিয়ে। এদিকে রমজান মাস উপলক্ষে মাছ-মাংসসহ ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকারের  কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। বেঁধে দেওয়া দামে  এসব নির্ধারিত পণ্যের বিক্রি নিশ্চিত করতে কাজ করবে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার কথা জানায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। উৎপাদক থেকে পাইকারী ও ভোক্তা মিলে তিনটি স্তরের জন্য এ দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর ৪ (ঝ) ধারা অনুযায়ী এসব কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত  নির্ধারিত দামে এসব পণ্য কেনাবেচা করতে হবে।

বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, উল্লেখযোগ্য নিত্যপণ্যের মধ্যে খুচরা বাজারে ডালের মধ্যে ছোলা ৯৮ টাকা; চিকন মসুর ১৩০ টাকা ৫০ পয়সা এবং মোটা দানার মসুর ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা; খেসারি ৯৩ টাকা; মাসকালাই ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সা, মুগডাল ১৬৫ টাকা। মাংসের মধ্যে প্রতি কেজি গরু ৬৬৪ টাকা, ছাগল ১ হাজার ৩ টাকা; ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা । মাছের মধ্যে প্রতি কেজি চাষের পাঙাশ ১৮১ টাকা ও কাতলা ৩৫৪ টাকা।  খুচরা দরে প্রতি পিস ডিমের সর্বোচ্চ দাম সাড়ে ১০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, রসুন ১২০ টাকা, আদা ১৮০ টাকা, শুকনো মরিচ ৩২৭ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা।

খুচরা দরে সবজির মধ্যে  বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩০ টাকা, প্রতিকেজি বেগুণ ও সিম ৫০ টাকা, আলু সাড়ে ২৮ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৪ টাকা। ফলের মধ্যে  জাহেদী খেজুর কেজি ১৫৫ টাকা, সাগর কলার হালি ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে