করোনা পরবর্তী দেশে ৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। চলতি বছর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা কম। আর অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটায় এ বন্ধ হওয়া অব্যাহত আছে। বন্ধ এসব শিল্পে যারা উদ্যোক্তা ছিলেন, তাদের অনেকে কাজ খুঁজছেন এখন।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এনবিআর’ আয়োজিত প্রাক বাজেট সভায় এসব তথ্য জানান চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার উল-আলম চৌধুরী পারভেজ। ঢাকার আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে এ সভা হয়।
চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আরও জানান, ছয় মাস আগে করা একটি স্টাডিতে এ ৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বন্ধ হওয়ার বিষয়টি জানা গেছে। এসব শিল্প বন্ধ হওয়ায় বিপুল সংখ্যক মানুষ কর্ম হারিয়েছে।
সভায় অনলাইন প্রতিষ্ঠান দারাজের কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনাটি উদাহরণ হিসেবে সামনে টেনে আনেন সভাপতি। বলেন, এ সময় তাদের এক্সপেন্স ব্যয় হিসেবে অনুমোদন না করায় এর ওপর ট্যাক্স দিতে হয়েছে। ফলে তাদের উপর দ্বিগুণ চাপ বেড়ে যাচ্ছে।
তার হিসাবে, এখন স্পিড মানি আগের চেয়ে বেশি দিতে হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের খরচ দিতে হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। আর এ টাকা যখন ব্যয় হিসেবে অনুমোদন হয় না, তখন এর ওপর ট্যাক্স দিতে হয়। ফল হিসেবে দ্বিগুণ চাপ বাড়ছে।
চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি জানান, কর্পোরেট ট্যাক্স তিন বছরে সাড়ে সাত শতাংশ কমানো হয়েছে এটা ঠিক। কিন্ত কোম্পানিগুলো সেই সুবিধা নিতে পারছে না। সভায় কাস্টমসের কারণে বন্দরে হয়রানির বিষয়টি তুলে ধরে বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব কারণে জরিমানা ও পোর্ট ডেমারেজ বেশি হচ্ছে। আর সেটার চাপ ভোক্তার ওপর যাচ্ছে।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে