চালের বাজার নিয়ে বিভিন্ন সময় চালবাজি-কারসাজি করা হয়েছে। এ নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ ভোক্তাদের। তাই চাল নিয়ে কারসাজি ঠেকাতে ও চালের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে বস্তার গায়ে দরদাম ও উৎপাদন সংক্রান্ত তথ্য লেখা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।

এ নির্দেশনা ঠিকঠাক না মানলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনা মোতাবেক চালের বস্তায় ধানের জাত, মিলারের নাম-ঠিকানা, ওজন ও মিলগেট মূল্য লিখতে হবে। আরও লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি করা হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা আকস্মাৎ বেড়ে গেলে মিলার, পাইকার ও খুচরা বিক্রেতা- একে অপরকে দোষারোপ করেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো ধান-চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

এ অবস্থার উত্তরণের জন্য চালের মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ও ধানের নামেই চাল বাজারজাতকরণ নিশ্চিতসহ এ সংক্রান্ত কর্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে এসব বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শকরা পরিদর্শনকালে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। নির্দেশনা অনুসরণ না করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন তারা।

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে