টু শব্দ করার সাহস দেখাতে পারেনি সরকার: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ জানুয়ারী ২০২৪

আওয়ামী সরকার সীমান্তে অব্যাহত নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ তো দূরের কথা, টু শব্দ পর্যন্ত করার সাহস দেখাতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সেই সঙ্গে বলেছেন, উল্টো ভারতের তোষামোদিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মন্ত্রীরা।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লালমনিরহাটে ভারতের সীমান্ত এলাকায় রাফিউল ইসলাম টুকলু ও বিজিবির সদস্য মোহাম্মদ রইসুদ্দিন নিহতের ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন। সম্প্রতি তারা দুজনের ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, কেবল সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে হত্যা নয়, দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাংচুর, ধর্ষণের ঘটনা ঘটালেও কোনো প্রতিবাদ করেন না শেখ হাসিনার নতজানু সরকার।  বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান, চীন, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমারের স্থল সীমান্ত আর শ্রীলংকার সঙ্গে সমুদ্র সীমান্ত  রয়েছে।  কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়া অন্য পাঁচটি দেশের সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিরীহ কোনো লোক নিহত হওয়ার খবর খুব একটা চোখে পড়ে না।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইনে কোনো দেশ অন্য দেশের নিরস্ত্র নাগরিককে হত্যা করতে পারে না। তারপরও হত্যা করলে তাকে গ্রেফতারসহ তার বিরুদ্ধে সে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু বিএসএফ তার তোয়াক্কা না করেট্রিগার হ্যাপী নীতিতে কাজ করছে। বাংলাদেশ ভারতে চোরাচালানের শাস্তি নিশ্চয়ই মৃত্যুদণ্ড বা গুলি করে মেরে ফেলা নয়। তাছাড়া বিএসএফের শাস্তি দেওয়ার অধিকারও নেই। শেখ হাসিনার অবৈধ সরকারের প্রতি ভারতের সমর্থনের বিনিময় যদি নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিক অথবা বিজিবির সদস্যের প্রাণহাণি ঘটে, তাহলে  নিশ্চিত এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা এখন অরক্ষিত।  

তিনি জানান, জনসমর্থনহীন শেখ হাসিনা একনায়কতন্ত্রের দৌরাত্মে এক উদ্ভট, দৃষ্টান্তহীন এবং নিষ্ঠুর খামখেয়ালী রাজার মতো ভারতকে খুশী করতেই ব্যস্ত। বাংলাদেশকে ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের আওতার মধ্যে ক্রমাগতভাবে ঠেলে দিচ্ছেন তিনি। আওয়ামী লীগের নেতারা ভারতের গোলামি করলেও দেশের মানুষ ভারতের গোলামির জিঞ্জির পরিধান করবে না। ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব না থাকলেও ভারতের শাসকদের পলিসি, নীতি নিয়ে আমাদের আপত্তি  আছে। তাই দল-মত নির্বিশেষে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।

 

বিডি২৪অনলাইন/আরডি/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর