সংবিধান অনুযায়ী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত
হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ভুল রাজনীতির কারণে
জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া বিএনপি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতেই
নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লাগাতার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জনগণের মুখোমুখি
হতে ভয় পেয়ে বিএনপি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের পথে রাজনীতি করছে।’
রবিবার আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক
বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইতিহাসের নিষ্ঠুর সামরিক স্বৈরাচার
জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, যুদ্ধাপরাধী ও বিদেশি এজেন্টদের
সমন্বয়ে গঠিত বিএনপি কোনও দিনই গণতন্ত্রকে ধারণ করেনি। তারা হ্যাঁ বা না ভোট ও ভোটারবিহীন
প্রহসনমূলক নির্বাচন আয়োজন, রউফ, সাদেক ও আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন, ১ কোটি
২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের
পথে হেঁটেছে বার বার।’
তিনি বলেন, ‘জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি তাদের ‘ভুয়া ভোটার ব্যাংক’ নষ্ট হওয়ায়
এবং পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের সুযোগ না থাকায় নির্বাচনে অংশগ্রহণে ভয় পায়।
বিএনপি গণতন্ত্র, নির্বাচন ও জাতীয় অগ্রগতিকে ধারণ করে না, উল্টো গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে
নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্রকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। এদেশে যাদের হাত ধরে
গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্ট হয়েছে, হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি সূচনা হয়েছে— আজ
তারা গণতন্ত্রের কথা বলে! হাওয়া ভবনের দুর্নীতি, লুটপাট ও দুঃশাসনের গডফাদার এবং সন্ত্রাস
ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।’
আরআই