চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সংশোধন করা হয়েছে। এতে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২৪ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি ব্যয় ২ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে। সংশোধিত এডিপির আকার ২ লাখ কোটি টাকার প্রাক্কলন করা হয়েছে।
সংশোধিত বাজেট বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব জানান, চলতি অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে ৫ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা, কর বহির্ভূত রাজস্ব ৬৫ হাজার কোটি টাকা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত সূত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা আহরিত হবে বলে ধরা হয়েছে।
রাজস্ব আহরণের গতি চলতি অর্থবছরের বৃদ্ধি পেয়েছে। বছরের জুলাই-অক্টোবর মাসে গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ছিল ২৪ দশমিক ১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে একই সময়ে সেটা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা থেকে ২৪ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রেস সচিব জানান, গত বছরের শেষের দিকে মূল্যস্ফীতি বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল। এখন খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে ৭ শতাংশের কাছাকাছি। চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ সেটা ৭-এ নেমে আসবে। পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
শফিকুল আলম আরও জানান, বাজেটে মোট সরকারি ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু রিভাইজ বাজেটটা ৭ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সংশোধিত এডিপির আকার জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। মূল বাজেট ছিল ২ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা। এটা জিডিপির ৩ দশমিক ৭ শতাংশ ছিল। এডিপি বাজেটের তুলনায় ৩০ হাজার কোটি টাকা হ্রাস পেয়েছে। সংশোধিত বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বৈদেশিক স্থানীয় মুদ্রায় আহরণ যথাক্রমে ৭২ হাজার কোটি টাকা এবং ১ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা দাঁড়াবে। পরিচালন ব্যয় সহ অন্যান্য ব্যয় ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ কোটি টাকা, জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এর মধ্যে বৈদেশিক উৎস থেকে ৬৩ হাজার কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা সংগৃহীত হবে।
বিডি২৪অনলাইন/ইএম/এমকে