৯ শতাংশের নিচে নেমেছে সার্বিক মূল্যস্ফীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

 সবশেষ ১২ মাসের গড় হিসাবে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি গত নভেম্বর মাসে শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। নভেম্বরে দাঁড়িয়েছে দশমিক ২৯ শতাংশ। ২০২৩ সালের জুনের পর সর্বপ্রথম সার্বিক মূল্যস্ফীতি এতো নিচে নেমেছে গত মাসে। সরকারের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি এবং কৃচ্ছ্রসাধনের ফলে আগামী জুনে মূল্যস্ফীতি শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।

দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং বাজেট ব্যয় নিয়ে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। সে বৈঠকে এ আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।  প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক . মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এ বৈঠক হয়।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি জানিয়েছেন।

প্রাপ্ত তথ্য বলছে, পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে ২০২৩ সালের মার্চে মূল্যস্ফীতি শতাংশ পেরিয়ে দশমিক ৩৩ শতাংশ হয়। তবে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি গত জুনে কমে শতাংশের নিচে চলে আসে।

এদিকে বৈঠকে মূল্যস্ফীতির বাইরে  মজুরি প্রবৃদ্ধি,  কৃষি উৎপাদন, আর্থিক বৈদেশিক খাত, প্রবাসী আয়, আমদানি, ঋণপত্র, চলতি হিসাব নিয়েও আলোচনা হয়। জানানো হয়, বিগত কয়েক বছরে মূল্যস্ফীতি মজুরী প্রবৃদ্ধির হারের পার্থক্য ছিল অনেক বেশি। কিন্তু চলতি অর্থবছরের সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মধ্যে পার্থক্য অনেকটাই কমে এসেছে। সর্বশেষ নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি মজুরি প্রবৃদ্ধি (পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট) যথাক্রমে দশমিক ২৯ দশমিক শূন্য শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এটা ছিল দশমিক শূন্য দশমিক শূন্য শতাংশ।  

অন্যদিকে কৃষিখাতে যথাযথ প্রণোদনা ব্যবস্থাপনার ফলে বিগত অর্থবছরে বোরো মৌসুমে ধানের ভালো ফলন হয়েছে। বর্তমান সময় পর্যন্ত কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটায় আমন ধানেরও ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন চলকের ভারসাম্যহীনতা একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে ইতোমধ্যে চলে এসেছে। গত ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছরের আগস্টে এর পরিমাণ ছিল ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল হয়ে আসা, প্রবাসী আয়ের গতি বৃদ্ধি এবং দেশের আর্থিক খাতে সম্প্রতি সুদের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ায় রিজার্ভ আগামীতে ক্রমান্বয়ে আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

 

বিডি২৪অনলাইন/ইএম/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর