দেশে ও বিদেশ মিলে মোট ৬৬ হাজার ১৪৬ কোটি টাকার সম্পদ ফ্রিজ ও সংযুক্ত করা হয়েছে। এসব সম্পদের মধ্যে স্থাবর ও অস্থাবর উভয় ধরনের সম্পত্তি রয়েছে। বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধারের জন্য আইনি সহযোগিতা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে পাঠানো হয়েছে মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলআর)।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় সমন্বয় কমিটির ৩০তম সভা হয়েছে। সেই সভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্ব করেন।
জানা গেছে, ফ্রিজ ও সংযুক্ত করা মোট ৬৬ হাজার ১৪৬ কোটি টাকার সম্পদের মধ্যে দেশে ৫৫ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। আর বিদেশে ১০ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ আছে।
বিদেশে পাচার করা অর্থ ও সম্পদ উদ্ধারে এরইমধ্যে ১০৪টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি মামলায় চার্জশিট দাখিল হয়। ইতোমধ্যে ৪টি মামলায় আদালতের রায় হয়েছে।
সভায় অগ্রাধিকার দেওয়া কেইসগুলোতে দ্রুত চার্জশিট দাখিল, সংশ্লিষ্ট দেশে আরও এমএলএআর পাঠানো এবং মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিদেশে পাচার করা অর্থ ও সম্পদ উদ্ধার কার্যক্রম অধিকতর কার্যকর করতে বিদ্যমান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর কতিপয় ধারা যুগোপযোগী করে আইনটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বিডি২৪অনলাইন/ইএম/এমকে