রপ্তানি আয়ে নেই সুখবর। শ্লথগতি দেখা যাচ্ছে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি, নতুন ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে। এরই মাঝে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)। কিন্তু অর্থবছরের ৫ মাস না যেতেই এর সঙ্গে ৫৪ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ৫ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।
এদিকে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে লক্ষ্যমাত্রা আদায়ে ১৭ হাজার কোটি টাকার ঘাটতিতে আছে এনবিআর। এ সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৯৭ দশমিক ০৭ কোটি টাকা।
ওদিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ চার মাসে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত অর্থবছরে এ সময়ে ১ লাখ ৩ হাজার ৪০৯ দশমিক ১৭ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছিল।
গত অর্থবছরে বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। যদিও পরে সেখান থেকে কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা করা হয়। এরপরও অর্জন হয়নি লক্ষ্যমাত্রা, আদায় দাঁড়ায় ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে এখনো ৮ মাস বাকি আছে। এ সময়ে এনবিআরকে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৫২২ কোটি টাকা আদায় করতে হবে। আগের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এ সময়ে আদায় করার কথা ছিল ৩ লাখ ৬২ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা।
জানা গেছে, নতুন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, আমদানি ও রপ্তানি শুল্কে আদায় করতে হবে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা। এ খাতে আগের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ কোটি ২৯ হাকার ৭৪০ কোটি টাকা। একইভাবে মূসক ও আয়করে লক্ষ্যমাত্রা নতুনভাবে ২ লাখ ৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা করা হয়েছে। এ দুই খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৮৪ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে প্রথম চার মাসে আমাদানি ও রপ্তানি শুল্কে পর্যায়ে ৩৪ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা, মূসক থেকে ৪৬ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা, আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে ৩৭ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকার রাজস্ব আাদায় হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি কোনো খাত।
বিডি২৪অনলাইন/ইএম/এমকে