দেশে গত ৫০ বছরে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার কৃষি জমি ও পরিবেশকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। নেতিবাচক প্রভাব বাড়ছে জনস্বাস্থ্যের ওপর। রাসায়নিক সার দিয়ে ফলন বাড়ানোর ধারা ইতোমধ্যে পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যজনিত অপ্রদর্শিত ব্যয় দেশের মোট জিডিপির প্রায় ১৩ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে কৃষি প্রতিবেশ সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে জৈব কৃষি সম্প্রসারণ এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
রোববার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশে ফসলের উৎপাদন কমানো ছাড়াই নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব কৃষিতে রূপান্তর শীর্ষক পলিসি ডায়ালগে এসব কথা বলেন বক্তারা। গত অর্থবছরে সরকারের কৃষি ভর্তুকি ছিল ২৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশই রাসায়নিক সারে ব্যয় হয়েছে বলেও জানানো হয় অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জৈব কৃষিতে উৎপাদন কমে না। অনেক ক্ষেত্রে বেড়ে যায়। এ জন্য ধাপে ধাপে একটি রোডম্যাপ প্রয়োজন। কৃষিতে দীর্ঘমেয়াদি টেকসই সমাধানে জৈব কৃষির বিকল্প নেই। কেবল প্রযুক্তিগত সহায়তা নয়, কৃষকদের সামাজিক আচরণ পরিবর্তনেও কাজ করতে হবে।
জাতীয় কৃষি নীতি পুনর্বিবেচনা, জৈব কৃষি সম্প্রসারণের জন্য সমন্বিত নীতি কাঠামো প্রণয়ন এবং জৈব সার উৎপাদনে বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন। তাছাড়া জৈব কৃষি বিস্তারে কৃষকদের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নীতি সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি। বাণিজ্যিক জৈব সার নিবন্ধন সহজ করা, জৈব সারে প্রণোদনা, কৃষি ডিজিটালাইজেশন এবং বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনের ওপর জোর দেন বক্তারা ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. বেগম সামিয়া সুলতানা, পল্লি কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল কাদের, ড. শেখ তানভীর হোসেন, ইএসডিও’র নির্বাহী পরিচালক ড. শহীদ-উজ-জামান, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী প্রমুখ।
বিডি২৪অনলাইন/এনএন/এমকে