ফ্যাসিস্ট সরকারের তৎকালীন মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিকের সাথে আতাত করে ভুয়া বিল ভাউচার ও নামে বেনামে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন দেবীগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো:সাখাওয়াদ আলী। শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতের পর মেয়র নিরুদ্দেশ হলেও এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি। একই কর্মস্থলে টানা ৬ বছর ধরে চাকরি করায় মেয়রের সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। এমন তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, এ সহকারী প্রকৌশলীর অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার।
জানা যায়, সহকারী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সাখাওয়াদ আলী জানুয়ারি ২০২০ সাল থেকে এ পৌরসভায় চাকরি করছেন। ২০২১ সালে মেয়র হোন আবু বক্কর সিদ্দিক। আবু বক্কর সিদ্দিক ও সাখাওয়াদ আলীর ভুয়া বিল ভাউচার করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের কিছু তথ্য এ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে যানবাহন মেরামত ও জ্বালানি খাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৬ লাখ ২৪ হাজার ৫৮১ টাকা। অথচ ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সেই খাতে খরচ এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৫ টাকা। একই ভাবে আনুষঙ্গিক ব্যয় ছিল ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৪৯৩ টাকা, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে একলাখ ৫৮ হাজার ১৪৭ টাকা। রাজস্ব ও উন্নয়নের টাকায় অন্যান্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬ লাখ ৪১ হাজার ৬৭০ টাকা, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সেখান থেকে কমে দাঁড়ায় মাত্র ৩১ হাজার ১৮১ টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে নর্দমা পরিস্কার ৩ লাখ ৬০০,২৪-২৫ অর্থবছরে ৪২ হাজার ৯০০ টাকা; ২০২৩-২৪ বছরে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার খাতে ৪ লাখ ৯৬ হাজার,২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭৫ হাজার ৫০০টাকা; ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আপ্যায়ন বিল ৪ লাখ ১৯ হাজার ১৬৬,২০২৪-২৫ বছরে একলাখ ৯ হাজার ৯২৫ টাকা।
বছরের ব্যবধানে খরচ কমে যাওয়া প্রসঙ্গে সহকারী প্রকৌশলী ও নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াদ আলী বলেন, ২৪ আগস্টের আগে খরচ হয়েছে। এ জন্য বিলও বেশি হয়েছে। পরে খরচ কম বিলও কম হয়েছে।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে