পঞ্চগড়ে সাবেক এমপি নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তার স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত মেজর কাজী মৌসুমির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে । রোববার (১৭ আগষ্ট) পঞ্চগড় বণিক সমিতির রৌশনাবাগ অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন সেনা সদস্য। সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমির বিরুদ্ধে ৬৭ লাখ টাকা আত্মাসাতের কথা জানিয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পঞ্চগড় জেলা শহরের রৌশনাবাগ এলাকায় ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে গ্রীণ মাল্টিপারপাস সোসাইটি নামে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি সমবায় অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়ে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হচ্ছেন অভিযুক্ত কাজী মৌসুমী। প্রতিষ্ঠানে মাসিক মুনাফা প্রকল্প টাকা জমা রাখার জন্য একটি প্রকল্প ছিল। কাজী মৌসুমি তার প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পে নির্দিষ্ট অংকের টাকা জমা করার বিষয়ে উৎসাহিত করেন এবং সংস্থাটির জিএম এনামুল হক ব্যাংকের থেকে বেশি মুনাফা (১৫ শতাংশ) দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ২০২১ সালে প্রায় ৬৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন ভুক্তভোগীদের কাছে থেকে।
এ বিষয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান ও জিএম এর স্বাক্ষরে বিনিয়োগকারীদের সাথে লিখিত চুক্তিও হয়। বিনিয়োগের পর কয়েকমাস মুনাফা দিয়ে পরে বন্ধ করে দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, কাজী মৌসুমির স্বামী নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচন করার সময় ভুক্তভোগীদের বিনিয়োগের টাকা খরচ করে ফেলেন। এরপর এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরে কাজী মৌসুমির সাথে বার বার যোগাযোগ করে শেয়ার সদ্যসের টাকা চাইতে গেলে বিভিন্নভাবে টালবাহানা করা হয়। সেই সঙ্গে হুমকি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে গত বছরের অক্টোবরে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা স্বত্বেও বিবাদী লিগ্যাল নোটিশের জবাব দেননি।
এদিকে পঞ্চগড়ের প্রায় শতাধিক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা নিয়ে বর্তমানে চেয়ারম্যন এবং জিএম উধাও বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। বলা হয়, অফিস তালা বন্ধ করে রেখেছে অভিযুক্তরা। সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে এখন। বিনিয়োগকারীরা প্রতিনিয়ত অফিসের সামনে ভীড় করছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে অভিযুক্ত কাজী মৌসুমিও জিএম এনামুল হকের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে