২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বরাদ্দে একটি স্যানিটারি ল্যান্ডফিল পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার নিমার্ণ করা হয় পঞ্চগড় পৌর এলাকায়। এরপর থেকে বছরের পর বছর পড়ে থাকলেও এ পরিশোধনাগারের কোনো সুফল পাচ্ছেন না এলাকাবাসী, এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে তাদের মধ্যে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অব্যবস্থাপনায় আর তদারকির অভাবে প্রকল্পটির চারপাশে এখন জঙ্গলে ভরে গেছে। সড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলে পাহারের মতো উঁচু করা রয়েছে। এখান থেকে দুর্গন্ধ এবং দুষণ ছড়াচ্ছে।
পৌরসভার তথ্যমতে, পৌরবাসীর দৈনন্দিন ময়লা আবর্জনার নির্গমণ করা তরল বর্জ্য পদার্থ যেন পরিবেশকে দূষিত না করে এ জন্য তৃতীয়নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পটি হাতে নেয় পৌরসভা। ২০১৮ সালের ২৫ আগষ্টে কাজ শুরু হয়, শেষ হয় তিন বছরের মাথায় ২০২১ সালের জুন মাসে।
স্থানীয়রা ও সুশীল সমাজের অভিযোগ, প্রকল্পটির শুরু থেকেই অনিয়ম ও দুর্নীতি ছিল। তৎকালীন বিএনপির পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম প্রকল্পটি হাতে নিলেও ২০২০ সালে পৌর নির্বাচনের পর মেয়র হয় আওয়ামী লীগ দলীয় জাকিয়া খাতুন। জাকিয়া খাতুন দায়িত্বে আসার পর এ প্রকল্প বরাদ্দ থেকে এক কোটি টাকা সরিয়ে নিয়ে কোন মতে বাস্তবায়ন করা হয় প্রকল্পটি। দুদক প্রকল্পটির ব্যাপারে সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করলে এ প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসবে বলেও মনে করছেন তারা। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ এ প্রকল্পের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দারিও জানান তারা।
তালমা এলাকার বাসিন্দা আলতাব বলেন, পৌরসভার বর্জে এতোটাই দুর্গন্ধ ছড়ায় যে আশপাশেও থাকা যায় না। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এমন পরিবেশ পুরোপুরিভাবে অনিরাপদ। দুর্গন্ধ বন্ধের জন্য সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে বর্জ পরিশোধনাগার করেছে। কিন্তু সেটা পড়ে আছে, কোন কাজে আসছেনা।
পঞ্চগড় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক ইউসুফ আলী জানান, পৌরসভার জন্য নির্ধারিত স্যানিটারি ল্যান্ডফিল্ড ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার ব্যবহারের অনুমোদন আমরা দিয়েছি। কিন্তু পৌরসভা তা না করে এখনও সড়কের পাশে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলে যাচ্ছে।
পঞ্চগড় পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী প্রনব চন্দ্র দে বলেন, আমরা বর্জ শোধনাগারটি সীমিত আকারে ব্যবহার করছি। জায়গা থাকায় আগের স্থানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। সেখানে পুর্ণ হলে শোধনাগারটি পরিপুর্ণভাবে চালু করা হবে।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে