কলেজের অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা অপকর্ম যেন অডিট আপত্তিতে অন্তর্ভূক্ত না হয়, সে জন্য শিক্ষা পরিদর্শকদের উৎকোচ দেওয়ার জন্য তহবিল গঠন করেন অধ্যক্ষ। আর এ তহবিলের অর্থ আদায় করা হয় শিক্ষক-কর্মচারীদের পকেট থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে।
এদিকে এ ঘটনার একটা বিহীতের আশায় কলেজটির অধ্যক্ষ মো. ইমদাদুল হকের এ কান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে সম্প্রতি দুদকে অভিযোগ দিয়েয়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক রাশেদ রাসেল।
জানা যায়, গত এপ্রিল মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর থেকে কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ পরিদর্শনে আসেন সহকারি শিক্ষা পরিদর্শক সোহেল রানা ও শিক্ষা পরিদর্শক দিদারুল জামান। তারা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা শেষে চলে যান।
এদিকে অধ্যক্ষ তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের জানান, পরিদর্শকরা ঢাকায় ফিরে দুই লাখ টাকা চেয়েছেন। এ টাকা পাঠালে অডিটে কোন আপত্তি দেখাবে না। এ টাকা সংগ্রহের জন্য প্রতি শিক্ষকের নিকট হতে তিন হাজার, কর্মচারীদের কাছ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা করে আদায় করেন অধ্যক্ষ। প্রতিষ্ঠানটিতে মোট ৩৪ জন শিক্ষক ও ১৪ জন কর্মচারী রয়েছেন। শিক্ষক ও কর্মচারীর কাছে টাকা উত্তোলনের কিছু অডিও রেকর্ড রয়েছে প্রতিবেদকের হাতে।
প্রভাষক রাশেদ রাসেল বলেন, অধ্যক্ষ কর্তৃক বিধি-বিধান লঙ্ঘন ও অপকর্মগুলো অডিট রিপোর্ট হতে বাদ দেওয়ার জন্য পরিদর্শকদের উৎকোচ দেওয়ার কথা বলে অধ্যক্ষ অর্থ সংগ্রহ করেন।
অধ্যক্ষ মো. ইমদাদুল হক তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীর কাছে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা পরিদর্শক মো. দিদারুল জামালের মুঠোফোনে কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি ৩০ মিনিট পরে ফোন দিতে বলেন। কিন্ত পরে আর কল ধরেননি তিনি।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে