দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ অগাস্ট ২০২৫

দেশে জাতীয় সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট- উচ্চ ও নিম্নকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। নিম্নকক্ষ প্রস্তাবিত বিল পর্যালোচনা বিশ্লেষণসহ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সেটা অনুমোদন অথবা প্রত্যাখ্যান করতে হবে উচ্চকক্ষকে। উভয় কক্ষে পাস হওয়া বিল রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য পাঠানো হবে। উচ্চকক্ষের নিজস্ব কোনো আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে না।

কোনো বিল স্থায়ীভাবে আটকে রাখতে পারবে না উচ্চকক্ষ। বিল এক মাসের বেশি সময় আটকে রাখলে সেক্ষেত্রে বিলটি উচ্চকক্ষে অনুমোদিত বলে গণ্য হবে। উচ্চকক্ষ কোনো বিল প্রত্যাখ্যান করলে সেটা সংশোধনের সুপারিশসহ নিম্নকক্ষে পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে। সেই সংশোধন আংশিক বা পূর্ণভাবে গ্রহণ কিংবা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে নিম্নকক্ষ।

উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে ১০০ আসনের। নিম্নকক্ষে প্রতিটি দলের প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ অনুযায়ী সংখ্যাগত প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে সেখানে সদস্যরা  মনোনীত হবেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংলাপের ২৩তম দিনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় সিদ্ধান্ত জানানো হয়। দীর্ঘ আলোচনা সত্ত্বেও এ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হওয়ায় এবং ভিন্নমত থাকায়, বিষয়টি ন্যস্ত হয়েছিল কমিশনের ওপর। সেই দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে সিদ্ধান্ত জানায় কমিশন।

 এদিকে উচ্চকক্ষে আসন বরাদ্দ নিম্নকক্ষে প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে বিএনপি এবং তাদের মিত্র জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, এনডিএম এলডিপি। সেই সঙ্গে উচ্চকক্ষের এখতিয়ার নিয়েও আপত্তি তুলেছে  তারা।

অন্যদিকে, উচ্চকক্ষ গঠনের বিরোধিতা করে সিপিবি, বাসদ এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বলছে, দেশের বর্তমান সামাজিক অর্থনৈতিক বাস্তবতায় কোনো প্রয়োজন নেই উচ্চকক্ষের।

 

এদিকে বুধবারের আলোচনা শুরুতে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, দ্রুত চূড়ান্ত সনদ প্রস্তুত করে আপনাদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করবো আমরা। এর ভিত্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও করা হবে। আজকের মধ্যেই আলোচনার পর্বের সমাপ্তি টানা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ  আরও বলেন, আলোচনা শেষে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য এবং যেসব বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা দ্রুত দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।

 

বিডি২৪অনলাইন/এনএন/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর