স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ মে ২০২৫

দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে দেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন। আর পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হলে সরকার সব কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

উপদেষ্টা পরিষদের দেওয়া এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। শনিবার (২৪ মে) প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে বিবৃতি দেওয়া হয়। এ দিন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভা শেষে উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক  হয়। ওই বৈঠক নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

এতে বলা হয়, বৈঠকে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার বিচার) বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসব দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে, সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, বিষয়ে অন্তর্র্বতী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে।

এতে বলা হয়, শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্র্বতী সরকার তার ওপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

অন্তর্র্বতীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে জানানো হয়- সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

 

 

বিডি২৪অনলাইন/এনএন/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর