সম্প্রতি চাল নিয়ে নিজের একটি মন্তব্য ভোটার ও আইনপ্রণেতাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেওয়ার পর জাপানের কৃষিমন্ত্রী তাকু এতো পদত্যাগ করেছেন। মূলত মন্ত্রীর পদে থাকাকালে তার ওই মন্তব্যে ভোটার ও আইনপ্রণেতাদের মধ্যে সৃষ্ট ক্ষোভ প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার নেতৃত্বাধীন সংকটাপন্ন সরকারের জন্য নতুন চাপ তৈরি করেছে। খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়েছে, একটি তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী তাকু এতো চাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন। সেখানে তিনি বলেন, “আমাকে কখনও চাল কিনতে হয়নি। কারণ সমর্থকেরা উপহার হিসেবে চাল দেন।”
এদিকে এ মন্তব্যের পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। বর্তমানে জাপানে চালের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফসলের কম ফলন এবং পর্যটন চাঙ্গা হওয়ার কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়াই এর পেছনে বড় কারণ। এমন পরিস্থিতিতে জনগণের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে তাকুর মন্তব্যকে ‘সংবেদনশীলতার অভাব’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে পদত্যাগের সময় এতো বলেন, চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় নাগরিকরা কষ্ট পাচ্ছেন, তাই আমি খুবই অনুপযুক্ত মন্তব্য করেছি। এদিকে চাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর এতোকে বরখাস্ত করতে অস্বীকার করায় প্রধানমন্ত্রী ইশিবাও সমালোচনার মুখে পড়েন। বিরোধী দলগুলো পার্লামেন্টে এতো’র বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়। এমন পরিস্থিতিতে ইশিবা এতো’র পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, এ নিয়োগের সম্পূর্ণ দায়িত্ব আমি নিচ্ছি। তবে নতুন কৃষিমন্ত্রীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত এখনো নেননি বলেও জানান তিনি।
এদিকে তাকু এতো পদত্যাগ করায় সাবেক পরিবেশমন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি এতো’র জায়গায় নতুন কৃষিমন্ত্রী হতে পারেন বলে জাপানের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে ও অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
ওদিকে আগামী জুলাই মাসে জাপানের উচ্চকক্ষের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তার আগে কৃষিমন্ত্রীর পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী ইশিবার জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এর আগে গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত আগাম নির্বাচনে তার লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) এবং জোটসঙ্গী কোমেইতো নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়।
বিডি২৪অনলাইন/ আইডিএন/এমকে