পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ ‘ভারতীয় মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। এ সংঘর্ষে দুজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত দুদিনে পাকিস্তানের নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ)-এর বিরুদ্ধে এ অভিযান চালানো হয়। প্রথম অভিযানটি চালানো হয় লাক্কি মারওয়াত জেলায়। সেখানে সেনারা পাঁচজন সন্ত্রাসী, যারা “ভারতীয় মদতপুষ্ট” তাদের হত্যা করা হয়। এরপর বান্নু জেলায় আরেকটি অভিযানে আরও দুইজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়।
তৃতীয় সংঘর্ষটি হয় উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মীর আলী এলাকায়। সেখানে সেনাবাহিনীর গাড়ি বহরকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা হামলা চালালে সেনারা তার পাল্টা জবাব দেয়। এ সময় দুই সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মারা যান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দুই সদস্য— সিপাহি ফারহাদ আলী তুরি আর ল্যান্স নায়েক সাবির আফ্রিদি।
এসব অঞ্চলে আরও সন্ত্রাসী লুকিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করেছে আইএসপিআর। তারা জানিয়েছে, এজন্য এলাকায় ‘স্যানিটাইজেশন অপারেশন’ চলছে।
ওদিকে বেলুচিস্তানের আওয়ারান জেলার গিশকুর এলাকায় প্রথম সংঘর্ষে ইউনুস নামে “ভারতীয় মদতপুষ্ট” এক সন্ত্রাসী নিহত হয়। এ সময় দুইজন আহত হয়। পরে কেচ জেলার তুরবাত শহরে দ্বিতীয় অভিযানে দুইজন সন্ত্রাসী নিহত হয়।
ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে সেনারা। নিহতরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা ও সাধারণ নাগরিকদের হত্যায় জড়িত ছিল দাবি করছে তারা।
বিডি২৪অনলাইন/ আইডিএন/এমকে