কঠিন সময় পার করছে চামড়া খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩ মে ২০২৫


দেশের রপ্তানির অন্যতম চামড়া খাত ১০ বছর ধরে কঠিন সময় পার করছে। অন্যান্য শিল্পের ক্ষেত্রে উন্নয়ন হলেও  এ খাতের ক্ষেত্রে চিত্রটা যেন উল্টো। বছর ১৩ আগে, ২০১২ সালে চামড়া খাতে রাজস্ব ছিল ১১৩ কোটি মার্কিন ডলার। সেখান থেকে কমে ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ৯৭ কোটি ডলারে। সে হিসাবে রাজস্ব কমেছে ১৬ কোটি মার্কিন ডলার।

 

রাজধানী ঢাকার অদুরে সাভারের হরিণধরায় চামড়াশিল্প নগরে এক গোলটেবিল বৈঠক হয়। সেখানেই বক্তারা তথ্য জানান। বৈঠকে ছিলেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, অ্যাপেক্স ট্যানারির প্রধান উৎপাদন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মাহমুদ খান, মার্সন ট্যানারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরিকুল ইসলাম খান, ডিটিআইইডব্লিউটিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম শাহনেওয়াজ লেদার ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, চামড়াজাত পণ্য জুতা উৎপাদন রপ্তানিকারক সমিতির (এলএফএমইএবি) পরিচালক মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।

 

বৈঠকে জানানো হয়, দেশে চামড়া খাতের উন্নয়নে লেদার ইঞ্জিনিয়ারদের একটি বড় ভূমিকা থাকলেও সঠিকভাবে সেই ভূমিকা পালন করা হচ্ছে না। ২০ থেকে ৩০ বছর আগে যে ধরনের চামড়া প্রস্তুত হতো, এখনো সেই ধরনের চামড়া তৈরি হচ্ছে দেখে। ক্ষেত্রে কোনো উন্নয়ন নেই। ফলে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যাচ্ছে এ খাত।

বক্তারা আরও জানান, সারা বিশ্বে চামড়ার চাহিদার জায়গায় এ দেশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ক্ষেত্রে খাত-সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করতে হবে একসঙ্গে। কীভাবে টেকসই পরিবেশবান্ধব শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা যায়, ঐক্যবদ্ধভাবে  সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। তাছাড়া চামড়াশিল্পের সংকট উত্তরণে শিল্প-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে সমন্বয় থাকাটাও জরুরি। এ সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলো পূর্ণ স্বাধীন নয়। বিসিক কর্মকর্তারা শিল্প মন্ত্রণালয় যেভাবে চালাচ্ছেন, সেভাবে চলছে। কলকাতায় চামড়াশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক প্রধান স্টেকহোল্ডার শেয়ারহোল্ডার হলেও বাংলাদেশের চিত্র পুরোপুরি উল্টো। এ জায়গাটা ঠিক করতে হবে, অ্যাসোসিয়েশনের ক্ষমতা বাড়াতে হবে। বাড়াতে হবে ট্যানারি মালিকদের শেয়ারও।

 

বিডি২৪অনলাইন/ইএন/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর